এখন মধ্য দুপুর,
আপাতত কোন তাড়াহুড়ো নেই,
বিচ্ছিন্ন কোন ঘৃণা বা বিমূর্ততার বুনন নেই,
সময়ের অভিঘাত নেই ,
শহরের জঞ্জাল নেই , উড়ন্ত বাতাসের গতি বেয়ে উঠা
নর্দমার দূর্গন্ধ নেই।
প্রতীকী ছায়া ঘিরে- কদমের বিস্তৃর্ণ ডালে
দু'একটা ক্লান্ত শালিক,
উত্তপ্ত ছায়ায় আমি রোদের গন্ধ মেখে
অন্য সব পথিকের দলে নীলিমায় দেখি-
ওপারে যাওয়ার বিপরীত স্রোত।
জল ভাগে নৌকো
ক্রমাগত বেঁকে উঠা মাঝির দীর্ঘ হাত
জলের ভেতর খেলে যায়
ঢেউ কাটা প্রজাপতির পাখার মতো,
কবিতার মতো তোমার সরল উপমায় ব্যবহৃত
জলের কপাট খুলে -
তোমাকে ছুঁতেই অদৃশ্য হলে তুমি।
কল- কল তরঙ্গ কেঁপে কেঁপে উঠছে
জীবনের আদি কাব্য -,
বস্তুত রহস্য !
যার গর্ভে নিষিক্ত অতীত
নাভীমূলে ভেসে উঠা আত্মার ক্রন্দন।
জোয়ারে উদ্বেল শীতলক্ষ্যা!
সূর্যাস্ত চিড়ে দেখি - তোমার জলে আজ
ভাসছে আমার-ই মৃতদেহ।