এ শহর এখন মৃত্যুর শহর,
এ শহর রক্তাক্ত লাশের শহর,
বাংলার চিরায়িত সবুজের নিশানা এখন
রক্ত মাখা ঝাণ্ডা।
এটা অন্ধকার শহর,
এখানে পাল্লা দিয়ে চলে মিথ্যের জয়গান -।
যখন তখন সূর্যগ্রহণ লাগে - -
ট্রাফিক সিগন্যাল সবুজ, হলুদ কিংবা লাল বাতির ল্যাম্পপোষ্ট গুলো জারি করে কারফিউ-
ভয়ংকর দুঃসাহস নিয়ে মধ্য রাতের পেঁচা গুলো
তখন চক্ষু মেলে শিকারে নামে।
এটা কোন রাজায় রাজায় সংঘাত নয়; পাথর, কয়লা,গ্যাস, লকারের সোনা, শেয়ার বাজার কিংবা
কোটা প্রথা সংস্কারের হুংকার নয় -
শুধু নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল বলে -
রক্তাক্ত ইউনিফর্ম নিয়ে ফিরতে হয়েছে ।
তুমি ই কি সেই মানচিত্র যার বুকে দাঁড়িয়ে আছি ষোলো কোটি বাঙালি।
রক্তাক্ত এই হাত, রক্তাক্ত ইউনিফর্ম, শরীর, পিচঢালা পথ-
লাঞ্চিত পদাঘাতে ফেষ্টুন, প্লেকার্ড হাতে আমাদের শিশুরা!
হে নগ্ন ফুলেরা, জেনে রেখো -
এই রক্তাক্ত হাত-ই একদিন
ইতিহাসের অশনিসংকেত হবে।
হে স্বাধীনতা !
তোমাকে পাবার জন্যে যে দামামা বেজেছিলো
মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড
জাতির বিবেকের কাছে তুমি আজ প্রশ্নবিদ্ধ কেন
বলতে পারো?
কেন আঁচড়ে কামড়ে নাও,
কেন বিষ দাঁত ফুটাও -
কেন লালসার ফেনিল জিহ্বা লকলকে হয়?
কেন মৃত্যুর মিছলে তোমাকে দেখি
বারবার উলঙ্গ যুবকের বেশে !
বলতে পারো ?
কেন তোমার বুকে বলিদান হয়
জীবনের অনুকূলে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন!
কেন যোনি ভোগে প্রাণ হারায় অবুঝ শিশুগুলো !
হে স্বাধীনতা
কলঙ্ক মাখা বিভ্রান্তির মানচিত্রে দাঁড়িয়ে যখন দেখি মানুষ রূপী জল্লাদের খিলখিল হাসি
হে স্বাধীনতা !
তখন কি তুমি লজ্জায় ৭১'
দেখো-!
তোমার অশ্রুসজল চোখে।