মাতৃত্বের স্বাদ
তাসফিয়া তাবাসসুম তমা

পানকৌড়ি হঠাৎ চোখের পলকে মিলিয়ে গেল
সফেদ শাড়ির আঁচলে উড়ে গেল শত গাংচিল
ঠিক তারপর,
সবটুকু সুখ মেঘের খেলায় টেনে নিল জনপদ,
হারিয়ে গেল, হাজার জলকণার ভীড়ে
সন্তান জন্ম নেয় এমনই একটি দিনে,
কোলাহলপূর্ণ শব্দে পূর্ণ পৃথিবীর পরে, রাস্তার ভীড়ে।
কার সন্তান? কী পরিচয় তার?
সে তো আজো জানা হয়ে ওঠে নি।
তবে মাতৃত্ব ছাড়াই মমত্ববোধ অনুভূত হয় হঠাৎ।
এই বোধের কোনো কারণ নেই।
মমত্ববোধের সংজ্ঞা সুধাই পানকৌড়িকে,
সে জল থেকে উঠে-
স্নিগ্ধ শীতল ভাবে সাঁতরে চলে যায় ওপারে,
জলকণায় হারিয়ে যাবার আগে জানতে চায়,
মা কেবল ভ্রূণের সমাচারে রূদ্ধ কেন?
নারীবাদের ঊর্ধ্বে শুধু মাতৃসত্ত্বাকে ভাবা যায় না?
মাতৃত্বের আলিঙ্গন বড় শান্তির স্বস্তির!
পরম মমতায় যে লোকটি রাস্তা থেকে তুলে আনা -
উদ্ভ্রান্ত এক অচেনা মানুষকে আগলে বাঁচাতে চেয়েছে,
তার মাতৃত্ববোধ দেখা যায় নি সমাজ থেকে।
মা এক জাগতিক সত্ত্বা,
পরম যত্নে মানুষের মাঝে মা জীবিত থাকে, প্রজন্মান্তরে!