আমি মুসলিম, তুমি হিন্দু, সে বৌদ্ধ, ও খ্রীষ্টান

আমি নিঃস্ব, তুমি ধনী, সে দিনমজুর, ওর নাই বাসস্থান ।

আমি তরুন, তুমি বৃদ্ধ, সে কিশোর, ও শিশু

আমি বলি আল্লাহ, তুমি বল ভগবান, সে বলে বুদ্ধ, ও বলে যীশু ।

আমি আস্তিক, তুমি নাস্তিক, আমি ধর্মভীর, তুমি ধর্মহীন

আমিও মানুষ, তুমিও মানুষ, সে, ও সকলে মানুষ ; শুধু মনুষত্ত্বহীন ।।



শাসকের দুয়ারে শোষিত, মাথা কুঁটে মরে বৃথায়-

দ্বারে দ্বারে ভিক্ষুক ঘুরে বেড়ায়, জুটে কেবলই হতাশায় ।

সচ্ছল জন অবজ্ঞা-অবমূল্যায়ন করে অস্বচ্ছল জনে

বিত্তবান মত্ত শুধু বেহিসাবী সম্পদ বর্ধিত করনে ।

নিঃস্ব-অভুক্ত পানে অন্ন যোগানে কে সময় পায় !

আড়ালে-আবডালে ডুকরে কাঁদে মানবতা, মানবের নিঠুরতায় ।।



মানবের মহান ধর্ম মানবতা, মানে না কভু দেয়াল

আপন ত্রুটি-বিচ্যুতি, সংকীর্নতা ঢাকতে টানি ভেদের জোয়াল ।

বিশ্বাস ধর্ম আছে যার, সেই তো বিশ্বাস করে অপরে

দানব নয় মানবই যায়, মানবের হিত তরে ।

ইট-সিমেন্ট আর যান্ত্রিক সভ্যতায় মোহাচ্ছন্ন তায় !

দানবীয় খোলসে মানবের করাল গ্রাসে মানবতা কাঁদে অশুভ ছায়ায় ।।



ধর্ম-অধর্মে অকারন তর্কে-বিতর্কে মর্মপীড়ার উদ্রেক

কর্মে ফাঁকি দিয়ে কর্তব্য এড়িয়ে, অজুহাত ফাঁড়ায় আমাদের বিবেক ।

বড় বড় বুলিতেই সীমাবদ্ধ মানবতা, কর্মে কিছুই নাই

বুলি কপচানোতেই শেষ মানবপ্রেমের দৌড় ; তাতেই কত বড়াই !

মানবতার আঁতুড়ঘর ভুলে মানবতা খোঁজার ফসল-

পথে-প্রান্তরে কাঁদে মানবতা অবিরাম অবিরল ।।



উচ্চকন্ঠে মানবতার ধ্বজাধারী যত্তসব শয়তানী চেলারা

পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিন জুড়ে মানব পিষে অট্টহাস্যে তারা ।

বুলি আর বানী আউড়ানোতেই, যার মানবতার দৌড়-

সে কি বোঝে কভু, মানবের মানবতার ব্যাথার জোর !

তাই সস্তা বুলিতেই আবদ্ধ মানবতা আজ

ডুকরে কাঁদে বিষন্ন সুরে ; বিভিন্ন রুপে অভিন্ন সাঁজ ।।





০৯/০৪/১৩ ইং ।





___________######__________