উচ্ছল তারুন্যের মায়া ভুলে,
সুখ-স্বচ্ছন্দ ছুড়ে ফেলে,
নিমেষেই প্রানের মায়া তুচ্ছ করে,
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম দেশের তরে ।
সে কি এমন দেশের জন্য ?
নিজেরে ত্যাগে ছিলাম আপোষ শূন্য ।
এ কোন দেশ ? এই কি চেয়েছিলাম ?
অন্তঃসার শূন্য হল কি স্বাধীনতা ?
তবে কি আমরা ভুল ছিলাম ?
মায়ের চরনে হাত রেখে,
বিদায় নিয়েছিলাম হাসিমুখে,
আজও মনে পড়ে বিদায় ক্ষনে,
কাষ্ঠ হাসি হেসে বিদায় জ্ঞাপনে,
মাকে কথা দিয়েছিলাম-
লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনব, -এনেছিলাম ।
কিন্তু, একী ! আজ কী দেখছি !
চোখের ভুল তো নয়, তবে সত্যি ?
তাহলে মায়ের অশ্রুজল মুছে গেল না
মায়ের দুঃখ বুঝি আর ঘুচল না !
ফ্যাসিবাদ, যথেচ্ছা আচরন দেশজুড়ে
অরাজকতা লেগেই আছে-
আজো স্বাধীনতার এতকাল পরে ।
বোনের মাথায় হাত রেখে,
অভয় দিয়েছিলাম নিজে থেকে,
সিথির সিঁদুর বিনিময় দানে,
অকালে বৈধব্যের তিলক লেপনে,
এই তো আর কটা দিন-
তারপর সুদে-আসলে উসুল হবে সব ঋন ।
সেই পর্যন্ত ধৈর্য্য ধর, বোন আমার-
ঐ যে দেখা যায় স্বাধীনতার লাল সূর্য
শেষ হল বুঝি দুঃখগাঁথার ।
না ! আমাদের দুঃখগাঁথা আজো মুছেনি
বোনের ঋন আজো শুধতে পারিনি ।
অসংখ্য বোনের ঋন হিমালয় প্রমান আজ-
সেই ঋনের নীরব বচনে বদনে
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ভাঁজ ।
বীরাঙ্গনা ললনার সম্ভ্রম বিনিময়ে,
ছেলেহারা মায়ের পাথর বোঝা ব্যাথা সয়ে,
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ বয়ে,
নববধুর একাকীত্বের বাসর হয়ে,
হাজারো বাঁধা হিমালয়-সম ত্যাগ বেয়ে,
এদেশে এসেছিল স্বাধীনতা, নয়নে নবস্বপ্ন আঁকিয়ে ।
মেহেদী রাঙা হাত রক্তে রাঙিয়ে,
যে বর এনেছিল স্বাধীনতা নিজেরে দিয়ে,
সে কি এমন দেশের জন্য ?
হিংস্র বন্য হয়ে হানাদার তাড়িয়েছিলাম
করেছিলাম শত্রুর মস্তক ছিন্নভিন্ন ।
আজ চেয়ে রই নিস্পলক দৃষ্টিতে-
চারদিকে দেখি, শুধু শূন্য ।
০২/০৪/১৩ ইং ।
_________########_________