বলছি তোমায়, শোন ও রুপসী ললনা ;
জানা নেই সময় তোমার হবে কি না !
রাস্তা ধরে হেঁটে যাও যখন হৃদয়ে ঢেউ তোলে
হাওয়ার দোলন ভীষন লাগে তোমার এলোচুলে ;
ও পথ ধরে হেঁটে যাওয়া কাঁপন তুলে হৃদয়ে
সাহসের অভাবে তোমায় দেখি চোরা চোখে চেয়ে ।
গোবেচারা ভাব ফুটে নয়নে-বদনে ; এ কি গো যন্ত্রনা !
বলছি তোমায়, শোন ও রুপসী ললনা ।
ভয়-লজ্জার যুগল যন্ত্রনায়, হায় !
আঁখি ভরে তৃষা পুরে দেখা হয়নি তোমায় ;
চরনযুগলে নয়ন ছিল স্যান্ডেলের ফাঁক গলে
কামিজ-ওড়নার হালকা দেখা পেয়েছে চক্ষু-চপলে ।
হার্টবিটের দ্রুত কম্পন, বুঝ কিনা জানি না !
বলছি তোমায়, শোন ও রুপসী ললনা ।
তোমার একটুখানি ফিরে চাওয়া নিতান্ত অবহেলে
ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি দৈবাৎ খেলে গেলে
স্বপ্নের আনাগোনায় এপাশ-ওপাশে রাত ভোর হয়
চোরা চাওয়ার মাঝে, বেখেয়ালী কাজে উতলা-সময় ।
ফেলে আসা গোবেচারাদের মনে পড়ে কি না, জানি না !
বলছি তোমায়, শোন ও রুপসী ললনা ।
ধরিত্রীর যত রুপ-রস-প্রান, উজার করে দিয়েছে তোমায় ;
অমৃত-সুধা পিয়ে তুমি আজ তুলনাহীনা উপমায় ।
স্রষ্টার দানে, বসুধার নিবেদনে অপরুপ সাজে তুমি
চোখ ধাঁধানো সজ্জায়, আপনারে হারায় ; তোমার দর্শনকামী ।
পাছে নির্লজ্জ-বেহায়া বল, তাই তোমার পানে চাইতে পারি না !
বলছি তোমায় শোন ও রুপসী ললনা ।
তোমাতে মজেছি আকন্ঠ, শিল্পীত সত্ত্বার পরিচয়ে
তোমার চক্ষু-কর্ণ-নাসিকায়, পুরো দেহতে হারায় ; নান্দনিকতার খোঁজ পেয়ে ।
ওগো রুপসী, রুপ-সুধা পানে ডুবেছি তোমাতে, নিমজ্জিত মম-প্রান ;
পথে-প্রান্তরে যেথা-হেথা ফেলে, রুপ-রস অবহেলে ; করো না শিল্পের অপমান ।
লাজুক-বর্ণচোরা-গোবেচারাদের মনের কথা পড়তে পার কি না, জানি না !
বলছি তোমায়, শোন ও রুপসী ললনা ।
________######_________