ফাগুনের আগুন ঝরা দুপুরে,
ঘর্মাক্ত নয়নে দেখেছি রাস্তার মোড়ে ।
সূর্যের তাপ প্রচন্ড ভাপ নিয়ে-
পুরো শরীরখানি দেয় পুড়িয়ে ।
তখন থমকে গেছি আমি
থমকে গেছে আমার পা-দুখান ।
ভুলে গেছি পিপাসে দেখে তাকে,
বুকের মধ্যে জেগেছে এক অনুভূতি ;
সম্পূর্ন অপরিচিত এ বোধে
কচলাতে থাকি আমি মুঠি ।
আগে তো কত দেখেছি এমন
কতবার ঘটেছে যত্রতত্র যখন-তখন ।
কিন্তু কেন আজ আমার মধ্যে
জেগে উঠেছে অন্যরকম এক গদ্য ।
কেন ইচ্ছা করছিল ঐ স্যুট পরা-
সাহেব সাজে ব্যাক্তির পিঠের দাঁড়া,
ভেঙ্গে দিই আমি, আর বলি-
অনেক হয়েছে এবার থাম শালা ।
ও রিকশাওয়ালা বলে কি ও
মানুষ নই । তোর ইচ্ছেমত ও
তোকে পিঠে বয়ে বেড়ানোর
পর, খেয়ে যাবে তোর চড়-থাপ্পড় ।
ওর চামড়াটা মানুষের নয় ?
শালা পাষন্ড বর্বর নীচ নির্দয় ।
হতবাক, নির্বাক সে দিনমজুর
অপমানে দগ্ধ হয়ে মরে রাতদুপুর ।
পা-দুখানি তুলে, রিকশার হুড
তুলে দিয়ে, বসে থাকে হয়ে গুমোট ।
কপাল দিয়ে টপটপ ঝরছে ঘাম
দিনমজুর বলে নাই তার মান-অপমান ।
তার চোখের কোনে চিকচিক করা জল
হৃদয়ে আমার জ্বালায় আগুন অনর্গল ।
আর একদিন দেখি রাস্তার ঠোকাই
আপনমতে নিচ্ছিল কাগজ কুড়াই ।
হঠাৎ কে একজন দিল লাথি
ভূমিতে আছড়ে পড়ল তার মুখটি ।
কি এমন করেছিল সে
মারতে হল লাথি পশ্চাতদেশে ;
সেই লাথি মারা ব্যাক্তিকে দেখি-
প্রানখুলে হাসছে । -এ লজ্জা কোথায় রাখি !
সঙ্গী-সাথীদের মজার বস্তু
বানাতে, নিরীহ ঠোকাইকে দিলে গুতো !
তুমি কি মানুষ নাকি আর কি ?
তোমায় দেখে ঘেন্না হয় ছিঃ !
যদি অমন এক লাথি দিই,
পশ্চাতদেশ তোমার লাল করে দিই,
আর যদি হাসতে থাকি হাঃ হাঃ
কেমন লাগবে ভাবতো বাছা ।
ওরা মানুষ তোমার কেনা গোলাম নয়
ওরাও স্বাধীন, ওদেরও আছে ব্যথা-বেদনা ভয় ।
__________##########_________
উন্মুক্ত সমালোচনার উদাত্ত আহবান রইল । _লেখক