শাসকের শাসানীতে, হায়েনার হুংকারে
অত্যাচারীর উল্লাসে, নিপীড়িতের আর্ত-চিৎকারে
আমাকে আটকে রেখো না,
বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ করে বন্দী করো না ।
সত্যি বলছি, আমি পারব না ।
আমার সহ্য হবে না ।

নরপশুদের দৃষ্টির লেহনে,
মা-বোনদের সম্ভ্রমে আঘাত হেনে,
উল্লাসে মেতে দাপিয়ে বেড়ায় যারা
ভেঙ্গে চুরমার করব তার পিঠের দাঁড়া ।
সত্যি বলছি, এ তারুন্যের শপথ,
আমায় আটকে বন্ধ করো না এ রথ ।
আমি বিবেকের অনলে দংশিত হয়ে
তারুন্যের শপথে কলংকের দাগ দিয়ে
বাঁচতে চাই না, বাঁচতে পারব না ।
আমায় ধরে রেখো না ।
আমাকে ছেড়ে দাও, যেতে দাও
পিছুটানের মায়াজাল গুটিয়ে নাও ।
মুক্ত বিহঙ্গের মত আমি স্বাধীন হতে চাই ;
পিছুটান, মায়া-মমতার ব্যবধান কাটায় ।

উত্তপ্ত রক্ত গটগট করে ফুটছে
মিথ্যাকে ধুলিস্যাৎ করে সত্যের পতাকা উড়াতে চাইছে
অনিয়ম অনাচার শেষ করতে চাই ;
তাই, সত্যর ঝান্ডা উড্ডীন করে যাই ।
সত্যর ঝান্ডা হাতে, আমাকে এ পথ থেকে
মিথ্যাকে সয়ে নীরবে ব্যাথা চেপে বুকে,
ফিরাতে চেয়ো না, ফিরাতে পারবে না ;
সত্যি বলছি, আমি পেছাতে পারব না ।

আমি শপথ নিয়েছি তারুন্যের সূচনায়
বিলাব তারুন্য বিপ্লবের দূর্ভোগ-যন্ত্রনায়,
ছিনিয়ে আনব মানুষের অধিকার দানব হতে,
ঐ দানবদের বংশ নির্বংশ করব তারুন্যের শক্তিতে ।
অন্যায় হবে বিলুপ্ত আমারই বাহুবলে
ন্যায়ের জন্য প্রান দিয়ে দিব হেসে খেলে ।
আমায় আটকিয়ো না মায়ার বাঁধনে
ফিরিয়ো না আমায় ; ভয়ংকর শপথ শ্রবনে ।
সত্যি বলছি, ফেরার আর উপায় নেই,
নিরুপায় আমি তারুন্যের মান রক্ষার্থেই,
তাই, আমাকে ফেরাতে চেয়ো না ;
সত্যি বলছি, আমি পারব না ।


_________#########___________
অনুর্বর মস্তিষ্কের  সাধারন ভাবনার বহিঃপ্রকাশ করি কবিতায় । তাই এতে কবিতার শ্রীহানি হয় জানি ।কিন্তু আমার যে ভীষন ভালো লাগে ! তাই আমি আশা করি শকুনেচোখা সমালোচক মহোদয়রা আমার লেখা সমালোচনায় ক্ষত-বিক্ষত করবেন । তাতে যদি, আমার স্পর্ধা কিছু বন্ধ হয় ।  _ লেখক ।