এ হৃদয় যখন ঘুরে ঘুরে, ডুঁকড়ে কেঁদে উঠে,
তীক্ষ্ণ-তীব্র অপমান, বিদ্বেষ, বৈষম্য সহ্য করে,
রক্তস্নাত হয়েও যখন পারেনি ঘোচাতে অবসাদ,
ঈশ্বরের আশীর্বাদে, ঈশ্বরের ডাকে ধরণীর বুকে
তখন আবাবিল পাখিদের আবির্ভাব।

হে অরিন্দম, তোমার বীরত্ব গাঁথা
পৌঁছে গিয়েছে স্রষ্টার দরবারে,
লেখা হয়ে গিয়েছে অশঙ্ক কালিতে,
অপরিহার্য হয়েছে এই বিশ্ব ভুবনে।

চতুঃশালা যখন ত্রাসকর গোলা গুলিতে জর্জরিত,
রক্তাক্ত হয়ে অদম্য অনীক লুটিয়ে পড়া মুমূর্ষু দেহ,
মুক্তার মত মুক্তাগাঁথার অন্তর্ধান,
হায়! হাহাকার! হায়! হাহাকার!
ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞে হিংস্রতার পথ উন্মোচিত
হে অত্যুত্তম, হে অভীক,
তখন তুমি বরণ করে যাচ্ছ শহীদ-ই মৃত্যু।

অকুতোভয় যে মন, সে কি অবরুদ্ধ হয়?
যে স্তুতি বন্দনা করা যায়, রুদ্ধ নয়,
যে দৃঢ়তা স্রষ্টার প্রশস্তি কুড়ায়,
যে জ্বলন্ত দৃষ্টি শত্রুর ভীত ভস্ম করে দেয়,
সেই সে চিত্ত কাকে ভয় পায়?

এ অন্তর যখন শঙ্কার আকাশে
এলোপাতাড়ি ভেসে বেড়ায়
হে অরিত্র!
তুমিই এনে দেবে মুক্তি;
এই ছায়াপথে প্রায় বিলীন প্রাপ্ত
নক্ষত্রের ধারায় বিকলাংগ এই গ্রহে।