যখন রাত্রির তৃতীয় প্রহরের শেষে
কেঁদে ডুকরে উঠে হৃদয়
তখন এই অকূল হৃদয়ের গহীনে
শুধু মনে পরে তোমায়
কত জানা-অজানা পথের বাঁকে
হারিয়ে ফেলেছিলাম প্রায়
তোমার হৃদয়ের গভীর ভালবাসা
হাসিমাখা সেই মুখ, সুতীব্র মমতায় ভরা চাহনি
কত সহস্র বছর খোঁদার দরবারে
যেন প্রার্থনায় মগ্ন থেকেছি
আজ,
তুমি আমার পাশে আছো
এই ভাবনা আমায় বিভোর করে রেখেছে
সহস্র কাজের ভেতর
আজ,
তুমি আমার সারা জীবনের সংগী
এই চেতনা আমার সমস্ত স্বত্ত্বাকে উদ্বেলিত
করে তোলে ,
নিয়ে চলে শুধুই আলোর পানে
কতকাল, কত তিমির রজনী
ঝলমলে দিনের সূর্যের তীব্র আলোয়
সন্ধ্যার গোধূলী লগ্নে কিংবা
ভোরের স্নিগ্ধ শিশির ভেজা ঘাসে পা রেখে
সমস্ত স্বত্ত্বা দিয়ে আস্বাদন করে বলতে চেয়েছি
তোমায় আমি ভালবাসি, ভীষণ ভালবাসি
অভিব্যক্তি যতটুকুই হোকনা কেন
সমুদ্রের গভীরে ডুব দিয়ে তার গভীরতা হয়ত বা
খুঁজে পাওয়া সম্ভব
কিন্তু, এ হৃদয়ের ভালবাসার উত্স, গভীরতা আদৌ
পাওয়া সম্ভব কি?
যদি পুনরায় জন্মগ্রহণ করতাম
তবে শুধু তোমাকেই চাইতাম
যখন ফুরিয়ে আসবে সময় কাল
তখনও তুমি-ই থাকবে এই সত্তায়
যদি বারযাখ পার হয়ে পৌঁছে যাই জান্নাত
তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে চেয়ে নিব তোমাকেই, তোমারই আভ্রাণ
যত জীবন থাকবে এই প্রাণ
তত জীবন এই ভালবাসা শাশ্বত, চির-অম্লান
৪ই অক্টবার ২০১৬, ৪ঃ২৬ রাত