স্তরে স্তরে বর্জ্য পদার্থেরা
বাসা বাঁধে;
একে একে প্রতিটা পরজীব
অনুজীব হওয়ার প্রক্রিয়ায়
নিজেদের সত্যিকার পরিচয়
ভুলে যায়
তৈরী করে নেয়
এক নতুন আবাস,
এক নতুনধারার জীবন,
এক নতুন আয়োজন;
অথচ, তিলে তিলে ক্ষয়ে যায়
অন্য কেউ
কারও অস্তিত্ব
কারও সত্যিকার জাগ্রত সত্তা,
কারও বিবেক, চিন্তাধারা;
কে দায়ী?
এক বিরাট প্রশ্নোত্তর পর্বের খেলা যেন?
কে সেই হীন ব্যক্তিত্ব
যার ছায়াতলে ঘটে যায়
এই অসন্তোষ পূর্ণ কাণ্ড?
কার সেই অভিরুচি
যে নিজভূমে ব্যাধি কে দাওয়াত দেয় ?
কে সেই পাপী
যে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিতে যায় ?
কে সেই ছদ্মবেশী
যে নিজ-অস্তিত্বের আবেশে জীবাণু কে আশ্রয় দেয় ?
কি তার অভীপ্সা
যে নিজ কে ক্ষয় করে সে আনন্দ পায়?
হে অপদার্থ,
কে তুমি সেই মহান মহীয়সী
কে তুমি সেই জন্ম নাড়ী
কে তুমি সেই ছলনাময়ী
কে তুমি সেই কষ্ট-বিলাসী
কে তুমি সেই হীন কায়?
কে তুমি সেই হিংস্র অমানুষ?
কে তুমি সেই বিদ্বেষ পূর্ণ অবয়ব?
কে তুমি সেই বরবর?
কে তুমি সেই যাযাবর?
কে তুমি সেই অনুরাগী?
কে তুমি সেই অপরাধী?
কে তুমি সেই বিরল প্রজাতি?
কে তুমি সেই বিরাগী?
কে তুমি সেই মমতাময়ী?
কে তুমি সেই পিশাচী?
যে নিজ হাতে- নিজ আঙিনায়
যে নিজ মস্তিষ্কে- নিজ শ্রেষ্ঠত্বে
এক তুচ্ছ, হীন, ক্ষুদ্র, কদাকার
অবোধ, বেয়াদব, অসম, নির্লজ্জ
এক অণুকে - পরমাণুকে- জীবাণুকে সহান দেয়
২৫শে মার্চ'২০২১, রাত ৪ঃ৩৫