অনেক কিছু থেকেই তো চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি
কৃষ্ণপক্ষের ঘুটঘুটে অন্ধকার
ধবল জ্যোৎস্না, নিশিরাত, চাঁদ তারা
এসবে এখন মজি না
জানালার ফাঁকফোকর গলে
প্রথম সকালে যে সোনারোদটুকু
আমার বিছানায় এসে গড়াগড়ি খায়
আমি তাতেও মজি না
থইথই লেকের স্বচ্ছ জল
কোলাহল, কলতান
পাহাড়ের মত উঁচু ঘনবন
বসন্ত বাতাস, সন্ধ্যাবেলা
নিয়ন আলোর শহর
চীনাবাদাম খুটে খেতে খেতে
রাত করে ঘরে ফেরা
এসবে আমি আর যাই না
আর আমার মা
ত্বকে তার বার্ধক্যের ভাঁজ পড়ে গেছে
নাকে নথ, কানে ঝুমকো কানের দুল
শ্যামবর্ণ গায়ে তার ফিরোজা রঙ শাড়ি
পীঠে এখনো সংসারের ঘানী
রিনিঝিনি চাবির থোকার শব্দ
এ ঘরে ও ঘরে ঘুরে বেড়ায় সারদিন
অপূর্ব আমার মা
আমি তার দিকেও খুব ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাই না আর
আমি একটা খিটখিটে মেজাজি
আবেগহীন মোহহীন পাথরহৃদয় শক্ত মানুষ
অক্সিজেন আর শস্যদানা পেয়েই
যে কয়দিন আছি
বেঁচে থেকে এই গাঁ ছেড়ে দিবো...