তাকে সাজানো হল
নানা রকম রঙ তুলির আঁচর পড়লো মুখে, হাত পায়ের নখে
দুহাতে গুণে গুণে মালটি কালার দশ জোড়া চুড়ি
বারো হাত দীঘল খয়েরী শাড়িতে ঢাকা হল আপাদমস্তক
অবগুণ্ঠনে ঢাকা হল নেত্র
এরপর দুজন কন্যার দুইবাহু ধরে নিয়ে আসলো
এক পাশে বর পক্ষের লোকজন
অন্যপাশে কনের দাদা জ্যাঠা আরও দু তিনজন
প্রথমে কনের নাম জিগ্যেস করা হল
কন্যা কাজ কী কী পারে
কী খেতে পছন্দ করে
কোন ক্লাসে পড়েছে
মাঝে বীজগণিতের একটা সূত্রও জিগ্যেস করা হয়েছে
আরও জিগ্যেস করা হয়েছে ‘আয়াতাল কুরসি’
মিহি কণ্ঠে ইচ্ছায় অনিচ্ছায়
কন্যা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে
বীজগণিতের সূত্রও পেরেছে ঠিকঠাক।
এরপর বলা হল
মাগো, তোমার কেশ দেখি
দেখা হল কেশ
মাগো তোমার হাত দেখি
দেখা হল হাত
একজন টিপে দেখলেন আঙ্গুল,
কচি লাউয়ের মত নরম তুলতুলে কিনা?
মাগো, তোমার পায়ের গোড়ালি দেখি
দেখা হল পায়ের গোড়ালি।
মেঝেতে দুকদম হেঁটে দেখাতেও বলা হয়েছিলো।
এরপর কনে মাথার অবগুণ্ঠন খুলে ফেললো
আস্তে করে খুলতে লাগলো ব্লাউজের বোতাম
মুহূর্তেই একটা হইচই পড়ে গেলো
মেয়ে পাগল নাকি!
‘না না আমায় পাগল ভাববার কিছু নেই
শুধু হাতের আঙুল টিপে আর পায়ের গোড়ালি দেখে কী হবে?
বিয়ে মানে তো যৌন সঙ্গম আর বাচ্চা উৎপাদন
আমি আমার যোনি আর স্তন দেখাতে চাই’