টিউশনির শেষ মুহূর্তে
রঙ চায়ের কাপে চুমু চুমু দিতে দিতে বলেছিল
‘পড়াটা করে রেখো
কাল এসে ধরবো’
হঠাৎ ফোন এলো
মায়ের ফোন
‘হ্যা মা, আমি ফিরছি
দর্জি থেকে তুমি আমার জামাটা এনে রেখ
কাল ওটা পরেই বেরুবো’
শুক্লপক্ষের জ্যোৎস্না সন্ধ্যারাত
চাঁদটার পাশের যে তারাটা সর্বদা দৃশ্যমান
ওটার দিকে চোখ পড়েছিলো বারবার
আজ পৃথিবীটা কেমন যেন
কেমন যেন লাগে
ললাটে লেপটে ছিল যে অশাসনের চুলগুলো
ওগুলো একবার হিজাবে ঢেকে দিয়েছে
নিতম্বের পাশ দিয়ে কামিজটা টেনেটুনে ঠিক করেছিলো
একটু একটু করে ফুরচ্ছে পথ
পেছন ফিরে কি যেন দেখছে
আবার সামনে চোখ
কি একটা গানে ঠোঁট নড়ে উঠেছিলো একবার
না! চুপচাপ
এ রাস্তাটার বাঁক পেরুলেই
দু’তিন মিনিট বাদে ঘর
হঠাৎ পাশের ঝোপটা নড়ে উঠলো
বেরিয়ে এলো দু’তিনটে কুকুর
কিছুটা মনুষ্যাকৃতি
একটা হিজাবের কাপড় খুলে বেঁধে ফেললো চোখ
বা..বা.. করে কয়েকবার গোঙানি
কিছু বনফুল দেখে ওরা চোখ বুজেছিল
কিছু বুইচেলতার হঠাৎ আত্মহনন
ডাল পালা কম কিছু সরু গাছ
আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়েছিল
কিছু পোকামাকড় ছুটোছুটি করছিলো
একটা বড় গাছের আবডালে আড়াল হয়েছে চাঁদটা
এরপর কিছু সময় সে অচেতন তারপর নিষ্প্রাণ
আজ একটা পৃথিবীর মৃত্যু হল
ইতোমধ্যে নতুন জামাটা আনা হয়েছে ঘরে
ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরে বাবা খবর নিয়েছে মেয়ের
ইতোমধ্যেখবর হয়ে গেছে
সেনানিবাস এলাকায় লাশ হয়ে পড়ে আছে
এক অভাবী বাবার সোনায় সোহাগা মেয়ে
ইতোমধ্যে হোমওয়ার্কের খাতায় লেখা হয়েছে
‘মিস হত্যার বিচার চাই’