কত ভাইরাস আইলো গেলো, হিসাব যে নাই তার
প্যাপিলোমা, পক্স, পোলিও, আর এপস্টেইন-বার
হেপাটাইটিস, ইনফুলেন্জা, রুবেলা, আর রেবিস
সাথে আছে মিসেলস, মাম্পস, মেনিনজাইটিস, হার্পিস
লুপ্ত হইবে বংশের বাত্তি, এই ভয়ে সব কান্দে
আটকা পড়ছে কত ভাইরাস ভ্যাকসিনের ফান্দে।
চামে চামে দিন কাটায় ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া,
বিজ্ঞানী আর কোম্পানি হায়, ওইসব আছে ভুলিয়া!
এবোলা জাদু জানে, বড়ই বুদ্ধিমান
ঘুইরা ফিররা এটাক করে নিঃস্ব আফ্রিকান
এই নিয়া মাথায় একখান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়,
ছাড়লো না কেন আফ্রিকা সে, পাইছে নাকি ভয়?
অনেক সুনাম এইচআইভি -র, জানো নাকি কিতা ?
প্রথম ভিক্টিম ছিল যে তার এক হ্যান্ডসাম অভিনেতা।
হলিউডের নায়ক ছিলেন খুবই নামী দামী,
নাম তার রক হাডসন, ছিলেন সমকামী।
খানদানী এইচআইভি-র কোনো চিন্তা নাই
চার দশক পার হইলো ভ্যাকসিন মিলে নাই।
এতো কথা কইলাম আমি পর সমাচার এই,
এমন একখান ভাইরাস আইছে খুইজা পাইনা খেই!
ঠিক ধরছো সবাই তোমরা, তার নাম করোনা
দিন-রাইত তারে লইয়া-ই চলিছে গবেষণা।
উহান থেকে মুক্তি পাইয়া দৌড় দেছে কইষ্যা
ইউএস ইউরোপ পাড়ি দিয়া, দুন্নই বেড়াইছে চৈষ্যা।
বিজ্ঞানীরাও কম যায় না, নামছে কাছা দিয়া
তিন মাসের মইধ্যে তারা, ভ্যাকসিন ফালাইছে বানাইয়া
সোনার হরিণ পাইয়া গেছে করোনা যাইবে কই ?
ভ্যাকসিন তাদের হাতের মুঠায় নাচে হৈ হৈ !
এই ঘোষণা শোনার পরে দিলো মাথায় হাত
করোনা ভাবে, এইবার বুঝি হইবে কুপোকাত !
করোনারা কম কিসে, বুদ্ধি তাদের ঢের,
কার এমন ক্ষমতা যে, ঠেকাইবে তাদের?
এক দেশ হইতে অন্য দেশে পাল্টাই ফালায় ভোল
ভাবতেছিলো বিজ্ঞানীদের খাওয়াইয়া দিবে ঘোল।
বিজ্ঞানীরাও নাছোড় বান্দা, ছারবার পাত্র নয়
এই যুদ্ধে হইতে হইবে ভ্যাকসিনের জয়!
দুই ডোজ লইতে হইবে, বাঁচতে যদি চাও
সরকার দেবে সব টাকা, তুমি পাইবা ফাও !
দুই ডোজ না যতদিনে দেওয়া হইবে শেষ
লোকডাউনে থাকতে হইবে কইরো না বিদ্বেষ!
করোনাতে মানুষ মরে, নিত্য চলে গোনা
না খাইয়া মরে কয়জন হিসাব রাখি না।
সিজিংপেন আর বাইডেন এখন, করে মারামারি
ভাইরাস টা কে বানাইছে? সেই এক কেলেঙ্কারি।
বিজ্ঞানীরা খামি দেছে, কেউ বনায় নাই ভাইরাস
এইয়া লইয়া ফন্দি করার নাই যে অবকাশ।
২০২১ ০৭ ১৪