জীবন আমার ছোটখাটো, কচ্ছপ গতিময় চলছে অবিরত,
সামনে আমার বিভর স্বপ্ন, চলছি তাতে তরুলতার মতো।
কিসের মায়ায় টানছে আমায়, ভুবনকানা কোন দিক দেখায়?
সেই দিকে কেন যে ছুটে বেড়াই? মিছামিছি আঁধার রাতে চাঁদ কে সুধাই।
নিঝুম দ্বীপের আড়াল হয়ে, বয়ে চলি স্রোতের সাথে,
এপাশ ওপাশ ঢেউ এসে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় গহীন তলে।
কত কিছুর সামনে পিছে, ধকধকানো ইটের মাঝে,
নামটি আমার লেখা থাকে, দেয়াল চাপা কষ্টের মাঝে।
তবুও আমি রয়েছি বেঁচে, কারও থাকা প্রেমেরটানে,
সে যে আমায় আগলে রাখে, শক্ত খোলস ঝিনুক ন্যায়ে।
আমার মত আমি থাকি, নিজের ধ্যাননেত্র ছুড়ে মারি,
অজানা এক পথপ্রান্তরে, কালো অতীতের কেন্দ্রাংশে।
বিপদ আমার চারিপাশে, ঘুরে বেড়ায় বেমাতালে,
পরোয়া নেই তাহার মাঝে, আমি থাকি আমার সাথে।
কান কথা আকাশে উড়ে, আমার কানেও শিষ মারে, পাত্তা দেই না সে সব ভেবে, পিছু লোকে কাটি করে।
তবুও আমি বাঁচতে পারি, নিজের ভালো বুঝতে জানি,
অন্যের উতরে হইনা বেহুঁশ, আমার চিন্তাকুলে আমি হুজুর।
ঘুমের ঘুরে বোবায় ধরে, বোবাকালা মুখোশ পড়ে,
প্রাণটা আমার মুক্তি খুঁজে, একাহারী শুন্যে ভাসে।
কবি এখন উল্টারথে, চলছে বেঘোর অদূরদর্শিনীর পরীর খুঁজে,
মিললে হবে ঘর প্রহরী, না মিললে পথের সন্ন্যাসী।