পিছু পিছু ছুটে চলা একটা সীমাবদ্ধ ঠিকানা
পেছন থেকে স্পষ্ট কাতরতা নির্ভীক পথ চলা
কান দুটি আড়ি পাতা এক সুপ্ত নীড়ে হেঁটে চলা
বাঁধাহীন আমন্ত্রণে পশ্রয় ঘ্ণ আকুলতায় ভরা।
কানের দুল দুটি সেদিন একটু বেশি চঞ্চল ছিল
কিছু ক্ষন পর পর কিছু একটা বলার ব্যাকুলতা
কার্নিশে থাকা একগুচ্ছ গাঁধা ফুল মন কেড়ে নিচ্ছিল
বকুল মালার ঘ্রাণে যেন পুরোটা শহর ভেসে যাচ্ছিল।
সেদিনের সন্ধ্যাবেলাটি সত্যি খুব ভাগ্যোদয় ছিল
নিভু নিভু আলোয় কাজল কালো চোখ দৃষ্টি কেড়ে ছিল
সন্ধ্যারতি তার চোখে হার মেনে ছিল পাপড়ীর ছোঁয়ায়
ছেড়ে দেয়া চুল গুলো কোমরের মাঝেছিপকে ধরেছিল।
জলন্ত আগুনের কুণ্ডলি যেন জলশ্মে যাবে একটু স্পর্শে
আগমনের জাগ্রত ইচ্ছে লোপটা বেশি পেয়েছিলসেদিন
সেই থেকে বিকেলের হাওয়া, বকুল ঘ্রাণের তীব্র ইচ্ছে গুলো ভেতরে কুঁড়ে কুঁড়ে নিস্তেজ করে দিচ্ছিল আমায়।
কৃষ্ঞচূড়ার নিচে আজো রয়েছি দাঁড়িয়ে শুধু একটু খানি লুকিয়ে রেখে দেয়া তাহার মুচকি হাসি দেখতে।
লাল চুড়ি গুলোর ঝন ঝন শব্দটা আজও কানে বাজে
যেন আমার রক্তশিরায় মিশে আছে অনুভবের মাঝে।
সেকি আজও পায়েল পড়ে নাকি দূর দেশে হারিয়েছে?
সেদিন পায়েলে পা দুটি বেশি চমৎকার লাগছিল তাকে
ভিনগ্রহের রাণীর মত লাগছিল যেন সদ্যজাত চন্দ্রিমা
অব্যক্ত পত্রটি আজও হাতেই রয়ে গেলো ভীতু বলে।
আমি আজও ভুলিনি তাহার নুপুরের শব্দ যেটা আমার
ঘুম কেড়ে নিয়েছিল, রাতের তারা ঝড়ে পড়ছিল সব
আজ নেই কৃষ্ঞচূড়া, নেই তার পথ চলা, হেটে চলা
ফিরবে না সে আর জেনেও তার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা।
আমি আজও একা বিভর হয়ে তার দৃষ্টি প্রখর ছায়া
কেঁদে ফেলি নিজের অজান্তে হারানোর বেদনাতে
জানা কি হবে না আর আমার মত বিরহিণী কি সে?
জেগে থাকি তবুও শেষশয়নে পাশে যদি পাই তাহারে।