কেশোবরণ রুপেয়া সিথিতে টুকটুকে লাল সিদুর
চক্ষু পাপড়ি আলতো মেলে আধারে ফুটে ফুল
কানের ঝুমকো দুলনে প্রতিমাও যেন নিশ্চুপ
সুন্দরের দেবী ভাবিয়া ব্যাকুল তাহার গুণাঙ্ক কুল।
রুপের ঝলকানিতে চাঁদেরকণাও হার মেনে যায়
নুপুরের শব্দে পাখিদের আওয়াজটাও থমকে দাঁড়ায়
সকালের কোমল রোদ যেন লুকিয়ে পড়ে মিষ্টি হাসিতে
ভোরের কুয়াশা যেন লজ্জাবতীর মত ঝড়ে পড়ে গাঁয়ে।
দুষ্টু চাহনিতে সাদা মেঘ গুলো উড়ে চলে অচিনপুরে
ঠোটের ইশারায় ময়ূরের পালক গুলো গুটিয়ে পড়ে
মায়াবতীর চরণ স্পর্শে সবুজ ঘাসের লজ্জানত মুখ
তরুলতা যেন কার্নিশে ঝুলে থাকা এক গুচ্ছ ফুল।
নৃত্যে তাহার মুক্তকেশ ঝরে পড়ে পুরো অঙ্গে
হীরের বৃষ্টি ঝড়ে পড়ে তাহার চাঁদ মুখো দর্পণে
রুপ যেন নীলাকাশ ঘেরা রঙধনু কেও হার মানায়
পর্বতের ঝর্ণা যেন তার চানের অপেক্ষায় থমকে দাঁড়ায়
রুপের মহীমায় ঘেরা তাহার অঙ্গ চারিপাশ
স্বপ্ন জালে ঘেরা পুষ্পজগতে তাহার বসবাস
কল্পনায় ভেসে যায় তাহার দিন রাত্রি পুরোটা মাস
নিশ্বাসে যেন ছড়িয়ে পড়ে গোলাপ গুচ্ছের তীব্র ঘ্রাণ।