পুরনো সেই রাস্তা একাধারে আনমনে বসে থাকা
প্রখর দৃষ্টিতে সামনে এক ছাঁয়া দৃশ্যের অপেক্ষায়
ঝাঁপসা চক্ষু কোচলায়ে স্পষ্ট করা দুয়ারের টানে
ধুমায়িত বাতাসের বিড়ম্বনায় সিক্ত হৃদয় বিহারিণী।
হাজারো কপাটের ঠং ঠং আঁওয়াজ কানে বাজে
লাজে খুলিতে নারাজ চক্ষু ছল ছল প্রাণের বিহারে
পত্রক্ষণে মুচকি হাঁসি ভেঁসে ভেঁসে দুলা লাগে কানে
পাপড়ি খানী পড়তে মানা চক্ষু মণি দেখতে পাজি।
হাতটি তাহার ধরতে রাজি প্রিয়তার আঙ্গুলখানি
অনুভব পাগল প্রাণে হিতাহিত জ্ঞান সব জলাঞ্জলে
বিমোহিত রুপেয়া আগুনে জলশ্মে গেলো বক্ষপিণ্ডে
নিভু নিভু মধ্য প্রান্ত শেষকাল হলো আঁধারে লিপ্ত।
আঁলোর ফোটায় মুখমণ্ডল স্বর্ণ উজ্জ্বলিত ছত্রতল
ঝাঁপসা হঠাৎ আলোয় বিবর্তন নিকটে কোমল প্রবল
বিহারিণী মলিন মনে প্রাণেশ্বর চমকে হোঁচট পন্থে
অভিমানে একলা বসে পথো প্রান্তের কোল ঘেসে।
হারানো দিনের কল্পনার ঘোরে জেগে উঠে ঘুমের ঘরে
জানালা খোলা দমকা হাওয়া কপাট যেন ভেঙ্গে পড়ে
একাধারে ভাবছে মনে দেখা কি হবে না তাহার সনে
লাভ কি তবে প্রহর গুনে নাহি যদি পাই তাহায় মিলনে।