লজ্জা, হে লজ্জা আজকে আমার থেকে বহুদূর
কি হবে লজ্জা করে পেটে যদি খাবার নাহি জোটে?
শুয়ে থাকি খালি ঘরে চাঁন্দের আলো প্রবেশ করে
খালি পানি জাল করে শান্ত করি মনটাকে।
ভোর হলে টান পড়ে ক্ষুদার জ্বালায় মরি মরি
ভাঙ্গা থালি বসে পড়ি রাস্তার ধারের এক পাশে
গালিও শুনি পয়সাও গুনি লাথি পড়ে মোর থলে
চুপটি করে সয়ে চলি আমি যে গরিব সেটিও ভাবি।
হাত পেতে দাঁড়িয়ে পড়ি দামি গাড়ি হলেই দৌড়ে চলি
মেম সাহেব দূর দূর করি তাড়িয়ে চলে ছোট লোক বলে
ধাক্কাও মারে ছিটকে পড়ি জমিন তলে ব্যাথাও লাগে
এ আর নতুন কি?প্রত্যেকদিন সহ্যও করি আমি গরিব বলে।
সন্ধ্যারতি পেরিয়ে এলে ঘরের দিকে রওনা করি
নোট দেখিনি এক টাকার পয়সা গুলি জমাতে থাকি
সেই দুপুরে খেয়েছি এক কাপ চা, এক বন রুটি
ক্ষুদা নাই পেটে ঘুম নেই চোখে ঘরের চালে বৃষ্টি ঝড়ে।
কেনো আমি গরিব? হে ঈশ্বর বলো কেনো আমি গরিব?
দুঃখ কেনো দিলে এত এর থেকে মরে যাওয়াই তো শ্রেয়
পারছি না আর এই বেশে জীবনপথটা অতিক্রম করতে
বলো আর কত লাথি, ধাক্কা, গালি খাব আমি গরিব বলে?
শান্তি কি দিবা না একটু মরনের আগে জ্বলন্ত হৃদয়ে?
তিন বেলা ভর পেটে অন্তিম খাবার খেতে দুচোখ ভরে
এইটুকু চাহিবার অধিকার কি নাই মোর তোমার কাছে?
তবে সৃষ্টি করলে কেনো আমায় গরিবের রুপে?