তোমায় আমি সাজিয়ে দেব প্রিয়ে,
দুর্বাঘাসের কোমল সবুজ দিয়ে।
বুনোফুলের ঝুমকো এনে,
পড়িয়ে দেব তোমার কানে।
সাগর থেকে নীলকে সেঁচে তোমায় দেবো নিয়ে,
তোমায় ঘিরে গাইবে শালিক, বুলবুলি আর টিয়ে।
গাইব যখন প্রেমের গজল, ভাসবে অনেক দূর,
সেই সুরেরই মুর্ছনাতে ঝিমবে অচিনপুর।
ঝর্ণা তারই ছন্দ তুলে
পাহাড় থেকে নামবে দুলে
দুই পাশে তার রঙিন ফুলে ছড়িয়ে সেই সুর;
তার জলেতেই সিনান করে নাচবে বনময়ুর।
গভীর বনের নিঝুম বুকে জলার ধারের ঘাস,
দুলবে যখন হাওয়ার দোলায়, দুলবে বনের কাশ।
নিসর্গ তার আঁচল খুলে
হাওয়ার দোলায় উঠবে দুলে
হয়তো তখন বিলের জলে ভাসবে বুনো হাঁস;
উড়বে তোমার শাড়ির আঁচল কাজল কেশপাশ।
বর্ষা যখন ছাইবে মেঘে দূর আকাশের নীল,
অঝর ধারায় ঝরবে যখন, ভরবে কাজল বিল।
গুল্ম, লতা, ঝোপের ঝাড়
ছাইবে যখন অন্ধকার।
ঝাউয়ের বনে চুপসে রবে বৃষ্টিতে কাক, চিল।
থরথর কাঁপবে তোমার ঐ অধরের তিল।
তোমার প্রেমের আবেগ মাখা উতল, উদাস বায়
আসবে যখন করতে বিভোর পাতার বিছানায়;
অমনি কোন বিমূঢ় ক্ষণে
ঘন সবুজ গভীর বনে
কেউ রবে না, কেবল রব আমরা দুজনায়।
চুমবো অধর, পাতার ঘুঙুর বাঁধব রাঙা পায়।
ঐ সে বনের শ্যামল ছায়ে সবুজ ঘাসের 'পর
সবুজ পাতায় ছাউনি তুলে বাঁধব প্রেমের ঘর।
শান্তি, সুধা রইবে ঘিরে
ঐ আমাদের ছোট্ট নীড়ে
ভাঙ্গতে যাকে আসবে নাকো কালবোশেখীর ঝড়।
তোমায় নিয়ে বাঁধবো প্রিয়ে সেই সে প্রেমের ঘর!