জঘন্য গগন ভেদী আর্তনাদ শোনা যায়
হাহাকার ধ্বনি মর্ত্যধামে বলা নাহি যায়।
মনের দুয়ারে বাজায় মাদল
তাণ্ডব লীলায় ঝরায় বাদল,
বিষণ্ণতার প্রতিধ্বনি শুনি জীবন চলায়।
কালের আবর্তে হারিয়ে দিশেহারা সকলে
নির্বিকার নিশ্চুপ হতবাক হতেছে ধকলে।
উৎসুক সবে দেখছে চাহিয়া
ক্রন্দন রোল উঠিছে বহিয়া।
ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকে একে অপরের নকলে।
ক্রূর অশনি সংকেতের মহা দামামা বাজে
অনাচার অবিচার হোতা ত্রাণকর্তা সাজে।
লাম্পট্যের মহা উল্লাস উৎসব
শঠতায় মত্ত সমুচ্চ কলরব,
নীতিবাক্য সততা লাগে অসহ্য সব কাজে।
কুবুদ্ধির প্রতিযোগিতায় মত্ত রহে অহরহ
মাতাল ঐশ্বর্যের মোহে নীতিকথা দুর্বিষহ।
কুটিল প্রতারণায় ঘটায় ত্রাস
ধূর্ত শঠতায় করছে সর্বনাশ।
যৎসামান্য কারণে হতে হয় ভীষণ নিগ্রহ।
মনুষ্যত্বহীন চরাচরে এহেন মানবতার বিনাশ
সম্ভ্রমের অস্থি পাঁজর ভেঙে চুরে করে সর্বনাশ।
আত্মসাতের ভয়ংকর আগ্রাসন
নির্বিচারে দুর্বলের নীরব দহন,
অবক্ষয়ের এ চরম বিপর্যয় হয় না বিশ্বাস।
হৃদয়ের গভীরে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে
জ্বলে পুড়ে ছারখার নিরাশায় যায় বয়ে।
নির্বাক নয়নে অশ্রুধারা ঝরে
সুখের আশায় নির্বিচারে মরে,
শংকায় কাঁদে প্রাণ নিঃশেষ হয় বুঝি লয়ে।