বধূ মনের আনন্দে বসেছে অলিন্দে
গুন গুন সুর তুলে গায় কিছু ছন্দে।
চাতাল ভরেছে ধানে প্রফুল্লতা মনে
ঘরে ফসলের তৃপ্তি মেখেছে দুজনে।
মনের মাধুরী ঝরে গুন গুন সুরে
হয়ে গেছে চুর শুভ্র বেনীর চিকুরে।
দেখিছে পরখ করে আপন বধূরে
সুমধুর সুর জাগা মনের মুকুরে।
আজ এতদিন পরে কর্ম অবসরে
দেখেনি বধূকে কভু এত ভালো করে।
খাঁকতি ছিল প্রচুর হয়েছে কসুর
তথাপি কভু জীবন হয়নি বেসুর।
সহনশীলতা দেখে প্রীত মন থেকে
ভালোবাসা মনে রেখে বলেনি বধূকে।
বুঝেছে নিশ্চিত বধূ যে তার স্বর্বধূ
চারিদিকের, বাহিরে ঘরের দিগ্বধূ।
লক্ষী হয়ে আছে ঘরে জীবনের তরে
মিটি মিটি জ্বলে জোনাকির অগোচরে।
প্রেরণা দিয়েছে তারে মধুকন্ঠ স্বরে
বিপত্তি বিঁধেনি যারে কষ্ট অনাহারে।
ক্ষুধা জ্বালা দূরে রেখে সুখের দোলায়
দুজনের জোট বাঁধা সংসার ভেলায়।
সুখটুকু ধরে থেকে মন ভালো রেখে
ভালোবাসা যায় ডেকে বধূ পাশে থেকে।