স্বপন গগনে দেখি
পুষ্পিত ফুলের বনে
চঞ্চল চরণে ঘুরে ফিরে আনমনে,
ছড়ানো শিশির কণা
আবির জড়ানো খুশ
সহাস্য সারল্যে দীপ্ত ঋতি চনমনে।
চকিত চঞ্চল বায়
ভেসে মেঘের ভেলায়
প্রাণরসে পরিপূর্ণ ব্যগ্র আত্মহারা,
আঁখি মেলে তারে দেখি
ফুল নিয়ে মাখামাখি
আলোর মেলায় কুসুমিত ঝর্ণাধারা।
হাজার তারার রাতে
মাখামাখি তার সাথে
সরল সৌহার্দ্য মাখা জ্বলজ্বলে তারা,
যত দূরে যায় আঁখি
চোখ দুটো মেলে রাখি
অবুঝের মতো হয়ে বুঝি সর্বহারা।
উজ্জ্বল তারার মাঝে
জ্বলে উঠে নিজ সাজে
সরলতা দেখে ভরে স্বপনের আঁখি,
মনের জানালা খুলে
স্বপ্নীল আবেশ ভুলে
হৃদয়ের মণিকোঠা তারে দিয়ে রাখি।
ছায়াপথে ঘুরে ঘুরে
মনোরম সুরে সুরে
মনোরঞ্জক চেতনা দীপ্ত ভবঘুরে,
প্রাঞ্জল চোখের তারা
নিরুদ্ধ নয় ইশারা
চনমনে উচ্ছলতা মনের মুকুরে।
ছায়াপথে মুখরিত
হয়ে থাকে আলোকিত
মুক্ত প্রশস্ত অম্বরে জ্বলন্ত বিক্রম,
উজ্জ্বল মুখচন্দ্রিকা
স্বপনের নীহারিকা
উন্মোচিত কঞ্চুলিকা প্রদীপ্ত সম্ভ্রম।
আলোর দীপালি জ্বেলে
ছায়াপথে আঁখি মেলে
মনের দুলারি হাসে সুখ মাখা ছন্দে,
নন্দিত নতুন সাথি
তারাদের মাতামাতি
আটপৌরে সময়ের ব্যত্যয় আনন্দে।
দীপ্ত তারার বাগান
ভালোবাসার জোগান
অমলিন চেয়ে থাকা স্বপ্নিল আবেশে,
প্রেমের প্রেরণা নিয়ে
প্রণয় দুয়ার দিয়ে
ছুটে যায় অনুরক্তি স্বাচ্ছন্দ্য আয়েশে।