যে শক্তি কে সর্বশক্তি ভেবে তার স্তুতি করি, মাঝে মাঝে মনে হয় সেই আমার সাথে শত্রুতা করছে। যা কিছু আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি তাকেই কেন কেড়ে নিতে উদ্ধত হয়েছে সে?
যখন নিজের কাছে হেরে যায়, সেই শক্তির আরাধনা করতে শুরু করি, তাকে পাগলের মত বিশ্বাস করতে শুরু করি,তার কাছে দুর্বলতা প্রকাশ করি .. কিন্তু সেই যে কেন আমার দুর্বলতার সুযোগ নিতে শুরু করেছে, সব কিছুই আমার থেকে কেড়ে নিতে শুরু করেছে, দুর করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে.. যে নিঃস্ব তার শেষ সম্বলটুকুও চলে গেলে কিছুই কি আর থাকবে বাকি জীবনের?


বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করলে অনেকে বলেন- যখন আমরা নিজেদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলি, দুর্বল হয়ে যাই, তখনই কোনো এক শক্তির আরাধনা করি।
কিন্তু অতি বড় বিজ্ঞান-মনষ্ক মানুষ ও তার সজ্ঞানে-অজ্ঞানে কোনো না কোনোভাবে সেই শক্তির পদতলে আশ্রয় নেয়। কিন্তু স্বীকার করতে বাঁধে।

আমরা শক্তির আরাধনা করি মনের শান্তির জন্য, কিন্তু নিত্যই যদি মনের মধ্যে আশান্তি লেগে থাকে তাহলে কি জন্যে তাকে ডাকবো, কিভাবে তাকে ডাকবো?
এও একপ্রকার তার বিচক্ষণতা। হয়তো তার শরনাপন্ন হব সে জন্যেই সে আমাদের নানা আছিলায় নানা ভাবে চিন্তায় ডুবিয়ে রাখে। কারণ মানুষ বড় বিচিত্র, স্বার্থপর - নিজের প্রয়োজন ছাড়া কখনই শক্তির শরনাপন্ন হয়না।
জানিনা কি..

সাহিত্যের সংসারে আমার এ লেখার উদ্দেশ্য অনেকের কাছেই আপ্রাশঙ্গিক, কিন্তু এখানে যদি সাহিত্যকে আমরা এক শক্তি হিসাবে কল্পনা করি,  তাহলে দেখবো আমরা যখন নিজের কাছে দুর্বল হয় তখনই কলম ধরে সেই শক্তির আরাধনা করছি। আর সেই শক্তি তার অবয়ব ধরে এক এক কবিতার আকার ধারন করছে।
আমার মতো অনেকেই আছে যারা প্রথাগত লেখক - কবি না, কোনো এক মুহুর্তে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে দুর্বল হয়ে সেই শক্তির শরনাপন্ন হয়েছি। নতুন মুর্তি গড়ে তার পূজা করেছি, তাকে নিজের বলে ভেবেছি, নতুন করে বাঁচার রাস্তা খুঁজেছি।

কিন্তু আমি মাঝে মাঝে সেই শক্তিকে প্রানপন ডেকেও প্রতিনিয়ত  ভেঙ্গে পড়ছি, হয়তো তার প্রতি বিশ্বাস টা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।