মোহিনী
           তপন মাইতি

সারারাত চাঁদের দিকে তাকিয়েছিলাম একপলকে
জ্যোৎস্না এত মায়াবী অনুভব হয়নি আগে কখনও
সুন্দরবন বনদেবী ছল করে নিয়ে যাচ্ছে ভূস্বর্গে
পাশে লজ্জাবতী গাছগুলো নুইয়ে মনোযোগী লজ্জায়।
ম্যানগ্রোভ থেকে রডডেনড্রন রীতিমতো অবিশ্বাস্য
কথা রেখেছে সে বড় ভাগ্যবতী এক পুরুষে আসক্ত
এত অভাবে আর এত খারাপ সময়ের মধ্যে দিচ্ছে
ধৈর্যের পরীক্ষা,মনের টান, প্রেমের জোর,ভালবাসা।
এতটা দুঃখ কষ্টের মাঝে,মুখে এক চিলতে হাসিতে
মন্ত্রমুগ্ধ প্রসন্ন হিন্দুদেবী;যার জন্য আমি পাগল
কবি,সে নিঁখুত সঙ্গী,অত্যন্ত প্রশংসনীয় আকাঙ্খিত
সুডৌল শরীরী উপন্যাস, প্রেমে আকর্ষণীয় কবিতা।
সে এক স্বর্গীয় অপ্সরা অপরূপ মায়া চাঁদ মোহিনী
রাতে নোনা নদীর গান শুনেছি গ্রীষ্মে ছায়ার মতন
বর্ষায় তুমুল নদী, পুজোর গান,হেমন্ত পাতা ঝরা
নিঃসঙ্গ শীতে,বৃষ্টির টোকায় কামিনী,মোহময় জুঁই।
আজ এক সুসংবাদ শুনলাম, মন ভালো হয়ে গেল
বিয়ের সম্ভাবনা এগিয়ে এল, অরণ্যেরা খুশি হল
শিশুরা আপ্লুত আনন্দিত সমৃদ্ধ, ফুলগুলো দুললো
ভালবাসার ঘর বাঁধবার সম্মতি পেল ফেরিয়ালা।