যন্ত্রণা সবার আছে,
যে সাপ কে বিষ হীন করার জন্য উপ্রে ফেলা হয় বিষ দাঁত..
তার চোখে কখনো জল দেখিনি,
শুধু শরীর টাকে মোচড়াতে দেখেছি অনেকক্ষণ।
বিধবার সংসার বাচাতে পরকীয়া করেছ গ্রহণ,
মধ্যরাতে পাশ ফিরে শুয়ে থাকা মৃতভর্তৃকার আঁচলের কোনে গিঁট বাঁধে কান্না
যোনি গহ্বরে তোমার মাদক শক্তির আস্ফালন স্রোত ঢেউ তোলে,
পাড় ভাঙে বারবার,
গোঙর শব্দে তুমি অট্টহাসি হেঁসে ওঠ আর উপলব্ধি কর যৌনতার উষ্ণতা।
শরীরের ঘর্ষণ সহ্যের মাত্রা হারালেও গোঙর শব্দ ওঠে নির্লজ্জ ঠোঁটে
দুই উরুর দূরত্ব থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি,
ওটাকে আমি সহবাস বলিনা, বরং বলা চলে অনুমতির ধর্ষণ,
একটা অসহায়তার যন্ত্রণা।
গৃহিণী তখন কোল বালিশে নিতম্ব চেপে উষ্ণতার অপেক্ষায় লিপ্ত লিঙ্গ বার্তায়,
আদুরে হাওয়া দরজায় টোকা দিলে জ্বলন্ত অনল নয়ন উপহার পায় শুন্য রাস্তা,
নিকটের তাল গাছের পাতায় পাতায় চলে বাদুড়ের ঝুলন্ত মিলন..
ভীতু শিশুর কান্নার শব্দে কেঁদে ওঠে চেনা বেড়াল।
রাত্র বাড়ে... গভীর থেকে আরো গভীর, আরো অনেকটা...
উদ্বাহি নারীর কপাল জোড়া বৃত্ত সিঁদুর রাত জুড়ে অপরিবর্তিত,
হিংস্র সিংহের মত রাঁড়ীর চোখের কাজল শুষে নেয় পরকীয়া,
অবশেষে একটি ভোর...
সমুদ্রের জলে স্নান সেরে কিংবা পাহাড়ের গায়ে রক্ত মুছে
সূর্যটা আবার আসে,
সম্পর্কে সম্পর্ক থাকে সম্পর্কের মত,
শুধু যন্ত্রণা নামের কোন এক অদৃশ্য শিশুকে
বুকের ভিতর পুষে রাখে অনন্তকাল।