দেখতে দেখতে চল্লিশ টি বসন্ত হল শেষ।
প্রথম চিঠি টি ছিল পরিপূর্ণ এক রঙিন খামে মোরা।
কাঁচা হাতের বাকা অক্ষরে যে স্বপ্নের আগুন তুমি জালিয়েছিলে
বসন্ত সেখানে দাবানল হয়ে উঠেছিল।


আরো একটি চিঠি পেয়েছিলাম,
পরিপূর্ণ পাকা হাতের পরিপাটী করে গোছানো অক্ষরে
প্রথম চিঠির ঠিক আটটি বছর পর,
ওটাই ছিল তোমার হাতের শেষ চিঠি।
ছিল সম্পর্ক ছিন্নর চিঠি।
বলেছিলে বসন্ত এসেছিল যৌবনের কোনে।
এসেছিল....; আবার চলেও গেছে।
দিয়ে গেছে অনেক আনন্দ, অনেক সুখ।
দিয়ে গেছে দুঃক্ষ মাখা রাশিপরিমাণ কল্পনা।
যাতনা যত দিয়েছি তোমায় জুরে...
ঢের হয়েছে,সমাপ্তি চাই,ক্ষমা করো মোরে।


হতবাক ছিলেম কতকাল,
আটটি বছর যে চরনে দিয়ে ছিলে ঠাই
সে চরনে নত মাথা করে তোমাকে দিলাম বিদায়।
প্রেমে কভু তোমার নাম দিতে পারিনি,
ভালবেসে কোনো নাম ধরে ডাকলে তুমি বিরক্ত হতে


আজ তুমি নেই
তবু এ হৃদয় জুরে আছে তোমার সমুদ্র সম ভালবাসা।
সে ভালবাসার জোরে
আজ আমার একাকীত্ব খোলা চিঠিতে
তোমার একটি নাম দিতে চাই।
যে নামে আনন্দ থাকে,
শুধু আনন্দ..? না, উল্লাস থাকে, উচ্ছ্বাস থাকে।
যেন সে নামে অল্প কিংবা এক হ্রাস দুঃক্ষ থাকে,
ভালবাসা থাকে, থাকে অভিমান,
অবশেষে থাকে নিঃসঙ্গতা।
তেমন নাম আর কৈ?
যাতে এত সব থাকে....
আচ্ছা 'বৃষ্টি' হলে কেমন হয়....?
এই বৃষ্টির মাঝে তো আনন্দ আছে,
কারো বুক ফাটা কান্না আছে।
আর্তনাদ আছে।
উল্লাস আছে, উদাস ও আছে বটে।
দক্ষিনের জানালায় বসে এ বৃষ্টিতে উদাস থাকা জায়,
পথ ভোলা জায়, নতুন পথের সৃষ্টি ও হয়।
হোকনা, তাতে খতি কি,
পুরোনো যত স্মৃতি ধুয়েফেলে না হয় নতুন পথেই হেটো,
সঙ্গ নিও কোকিলের কুহু শুর আর দূর্বা ভেজা শিশির,
তানপুরার তানে পা মিলিও,
আর সকালের স্নিগ্ধ আলোয় ডুবে থেকো।
আমি ঝরা শিউলি
মাটির বুকেই শায়িত রব,
আর তোমার বৃষ্টিতে বয়েযাবো বহুদূর।
তোমার ঠোট ছোয়ার অধিকার নিলে তুলে।
পথের বুকে স্পর্শী তব চরন।
আর তারপর....!
আর তারপর হারিয়ে যাব বহুদূর,
যেখানে তারা হওয়াযায় শেষ নিশ্বাসে।