বাস স্টপে নিয়মিত দাঁড়ানোর অভ্যাস টা
অনেক আগেই মরেগেছে,


শুনেছি যে বাস'টায় তুমি নিয়মিত স্কুল থেকে ফিরতে
সে বাস'টা এখন পুলিশ চকির কলঙ্কিত সব বাসের সাথে
মনমরা হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে পরে আছে,
বাস চালক'কে নাকি পথের মাঝেই
রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গেছিল জনসমুদ্রের ভীড়ে
কেউ কেউ বলা কওয়া করছিল.....
বাঁচার আশঙ্কা নেই।
কারণ... ধর্মঘটেও নেমেছিল রাজপথে যাত্রী পরিসেবায়।


কষ্ট হয়েছিল, একটু মায়াও হয়েছিলো,
হয়তো গোপনে লুকিয়ে ছিলাম ছলছল চোখ,
যখন মরতে দেখেছিলাম তাকে কল্পনায়।


একবার কেঁদেছিলাম সেই পইতে পরা হিন্দু ব্রাহ্মণের ছেলেটাকে
সাইকেল খেলায় কবরের নিচে মরতে যেতে দেখে,
অনেকেই হেসেছিল তার মৃত্যু পথের খেলাতে
অনেকে আবার আমার কান্না দেখেও হেসেছিল,
আমি তখন কষ্ট পাইনি, বরং লজ্জা পেয়েছিলাম
হিন্দু ব্রাহ্মণের ছেলে কবরে কখনো মরেনাকি !


মরে গেছিল, সেদিন বাচার আসায় মরতে গিয়ে মরে গেছিল ছেলেটা,
তাকে আর ফিরিয়ে আনতে পারেনি
বরং কবর থেকে তুলে ফিরিয়ে নিয়ে গেছিল কাঠের শ্মশানে


আমি সেদিন কেঁদেছিলাম সেই হাসি ছরানো জনসমুদ্রে,


আমি মরতে দেখেছি অনেককেই
আমি মরতে দেখেছি আমার আমিকেই বহুবার,


যেদিন তিন মাসের সেই শিশু কন্যাকে মরতে হয়েছিল ধর্ষণে
সেদিন মরতে দেখেছিলাম পুরো পুরুষ জাতিকে
যেদিন ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়
সদ্য যৌবনা,কিংবা যৌবনা কন্যাকে
সেদিন মরতে দেখি প্রেমিক জাতিকে, মরতে দেখি
ভাই কিংবা দাদা জাতটাকে,


আমি সন্তান জাতটাকেও মরতে দেখেছি অনেকবার।


চারিদিকে শুধু হাহাকারের শব্দ
ঢেকে গেছে ঝিঁঝিঁর ডাক
নগ্ন শরীর গুলো,
আধপোড়া, শিয়ালে খাওয়া শরীর গুলো,
গলা কাটা, যোনি কাটা, রক্তাক্ত শরীর গুলো
চিৎকার করে কাঁদছে তাদের নিজেদের নিষ্ঠুরভাবে মরতে দেখে


ভয়ে ভয়ে গুমরে কাঁদছে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা
তারা মরতে দেখেছে প্রকাশ্যে 'নির্ভয়া'দের
নীরবে ঝরছে বাবার চোখের জল


আমি চুপিসারে মরতে দেখেছি বাবা জাতটাকেও।।