বৃথাই জীবন বয় সুখের সন্ধানে
সত্য সুখ খুঁজে ফিরে অসীম ধরায় ,
যেটুকু পেয়েছি ভাবে অধিকার ছিল
অধিক পাবার মোহে সবেই হারায় !
শুন্য হাতে নিরাবরণ মাতৃ গর্ভেতে
সমুজ্জল হাসি টুকু মায়ের অধরে !
সুস্বপন দেখে বসে নিষ্পাপ জননী
জ্ঞানে গুনে পুত্রতার ধরাধাম পরে ।
হায় মাগো কি স্বপন দেখিছ জাগিয়া ,
জন্মসার বৃথা তব কষ্টের ক্রন্দন !
কেহ বা পাষন্ড দেখি তব শান্ত ক্রোড়ে
মিথ্যা মোহে ছিন্ন করে নাড়ীর বন্ধন !
থাকুক সবার লাগি বিশাল ব্রাম্মান্ডে
লাজটুকু ঢাকা সাথে খাদ্য পরিমিত ,
উন্মুক্ত করিয়া রাখো জ্ঞানের ভান্ডার
সার বস্তু দাও সবে জ্ঞানেরই যত ।
সেখানে রহিবে শুধু মূল্য বোধ খানি ,
মানবতা জেগে থাক অন্তরে সবার ,
সুসন্তান হোক সব মাতৃ পিতৃ কূলে
চরণের দাস যেন হয় মা তোমার ।
বৃদ্ধাশ্রম কারাবাসে দেব দেবী গণ ,
গর্ভস্থ সন্তান দেখে জন্মের পূর্বেই ,
অমলিন হাঁসি ম্লান নব জননীর -
অশিক্ষায় কুলষিত না কর আগেই ।
সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক জন গণ
বৃথা মোহ পরিহার করহ সকল ,
সর্ব সুখ বিরাজীবে তব গৃহ পরে
নিষ্পাপ ধরণী রবে সবার দখল ।
...... 26 . 5 . 2017 ......................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।