কোনো একদিন পথে - সারাদিন রব সাথে
তোমারেই স্পর্শে গন্ধে মিশে ,
আস্তাচলে মেঘ দূরে - কিংবা সাগর পারে
বিশ্বলোকে অসীমের শেষে !
না হয় এ উপকূলে - ঢেউ যেথা আসে দুলে
নীলজলে খেলিব দুজনে !
আগামীর ঢেউ পিছে - লুকিয়ে চাঁদের নীচে
গগনের গায় নির্জনে !
এমনি অজানা ডাকে - এসো মাঠে পথ বাঁকে
চুপি চুপু ভোর রাত শেষে ,
আলোর দিগন্ত ভুলে - ভেসে যাবো উপকূলে
দেখুক সূর্য হেসে হেসে ।
নির্জন কোনো ছায় - মেঘ ঢেকে রবে গায়
প্রেমময় কায়া খানি রচি ,
আলস্য দিনের শেষে - তারাদের পাশে বসে
চাঁদ মুখ জোছনায় যাচি ।
প্রকাশ আলোয় চেয়ে - রাত ছুঁবে কাছে পেয়ে
তোমারই আঁচলের ছায় ,
দূরের নক্ষত্র বাগে - আকাশ ঘনাবে মেঘে
বিলাশীত স্বপ্নীল গায় ।
তার পর কালো রাতে- জড়ায়ে আমারে সাথে
কিংবা বুকের এক পাশে ,
অনাবিল সুখে ভেসে - দুটি কায়া রবে মিশে
প্রভাত ডাকবে ভোরে এসে ।
......... 2 . 6 . 2017......................................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।