আজকে শুধুই দেখায় চলার পথে
অবক্ষয়ের ধ্রুপদ বালুর চর
রোজই এসে সাঁঝতারাটি ডাকে
জ্যোৎস্না ভরা দিগন্তেরই পর ॥
এই তো দেখায় প্রাচীন মেঠো পথ
ওই তো ঢাকা মহান নিদর্শন
মাটির নিচে মুখ লুকিয়ে আজ
দেখছে চেয়ে আমার বিবর্তন ॥
একটু আগে মৌর্য রাজার গাঁ
ওরই বাঁকে পাঠান রাজার দেশ
আলেকজান্ডার উড়িয়ে ধূলা পথে
পুরু রাজের করছিল সব শেষ ॥
দেখায় আজও সিরাজের বীর মাটি
উপনিবেশ নিশ্চিন্তে শুয়ে
দুই বাংলার মাটির দেয়াল খানি
দুই দেশেতে ধূলায় আছে চেয়ে ॥
চাষের জমি ফসল ফলে আজও
নাটোর ছুঁয়ে চলনবিলের জল
যমুনাতে আমার গাঁয়ের মেয়ে
পদ্মা পারে শুকায় তাদের আঁচল ॥
কাঁটাতারের এই পারেতেই আছি
শুনি সাঁঝে আজানেরই ধ্বনি
মুক্ত বাতাস বয়ে কূলের ধারে
মন্দির থেকে আসে মন্ত্র বাণী ॥
মুক্ত কণ্ঠে গাবো সাম্যের গান
মানবতা জাগুক নতুন ভোরে
বিদ্বেষহীন জীবন গড়ে মোরা
ইতিহাস কে লিখবো নতুন করে ॥
......... 16 .6 .2017 ........................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।