ঋতুর উল্লোল
শীতের আকাশ ছুঁয়ে নামে রোদ মাঠে
শিশিরের স্বর্ন আভা ঘাসের ডগায়!
শালিক ছুটিয়া যায় আপন ভঙ্গিতে
প্রিয়ার উন্মুক্ত বাহু পরশ জাগায়।
নিদ্রাহীন কালচক্রে জীবন চালিত
অনিন্দ্য সুখের মোহে যুগল কিশোর,
আমার উঠান পাশে হৈমন্তিক বেলা
সৌষ্ঠব স্তনাগ্র সম একান্তে বিভোর!
কুয়াশায় রাত্রি ম্লান নিশ্চিন্ত প্রভাতে
শোভনা সকাল আসে শৃগালের পথে,
রাগিনী হেমন্ত মত্ত শাওন দিবসে
আমার নীরব ক্ষণ হিমঋতু সাথে।
প্রমাথিনী বরাঙ্গনা বয়ান হেরিয়া
কাটাই প্রভাত শেষে দূর অবেলায়,
পুলকি বয়স্য বেলা পড়ন্ত বিকেলে
বরাসনে সান্ধ্য ডাকি আমারে ভুলায়!
আবার বিহঙ্গ সনে কুয়াশার মেঘ
কিছু বক আছে দূর দক্ষিণের গাঁয়,
নীরব আঁধার ছুবে নিষ্কাম শিশির
বশীভূত রাত্রি হাসে একা নিরালায়।
এমনি ঋতুর রঙে রাঙ্গাই নিজেরে
গ্রীষ্মের প্রখর রোদ্রে ছায়া খুঁজে ফিরি,
বরষার জলে খেলি ভাসাইয়া নাও
শরদিন্দু রূপে কাটে শরৎ শর্বরী।
হেমন্ত ডাকিয়া লয় কোনো মাঠ ঘাটে
শরভ শীতের স্পর্শে ইন্দ্রিয় নিশ্চুপ,
উর্বশী বসন্ত আসি খেলিবে ধরায়
উল্লোল আস্তরে ঢাকা ঋতুরা বিরূপ।
রচনাকাল : ২০১৭-১৮