কে ডাকে ওই খুলে পুবের দ্বার
জগৎ মাঝে সৃষ্টি সূর্যালোকে
যাবো সাথে দাঁড়াও খানিক ওগো
দিনে নাহয় রাতের জোৎস্নালোকে ॥
গভীর ডাকে ভাষায় হৃদয় খানি
উতলা বাতাস মন কে বিবস করে
মুক্ত ধারায় যাই ভেসে আজ দিনে
বসবো পাশে রাতের অন্ধকারে ॥
গুঞ্জরিছে মধুকর ফুল বনে
ভ্রমর উড়ে পরাগ মেখে গায়
কৃষ্ণচূড়ার রং বাহারি সাজ
রাধাচূড়ায় বিলীন অবেলায় ॥
মন ছুটে যায় মাঠ ঘাট সব ফেলে
বৈশাখেরই তপ্ত দুপুর বেলা
ডাক এসেছে পুবের খোলা ঘরে
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উতলা ॥
অনেক খানি আঁকা বাঁকা পথ
নদী নালা মাঠ ঘাট খাল বিল
গুল্ম লতায় ছায়ায় ঢেকে পথ
বনের বাতাস আকাশ অনাবিল ॥
মন গহীনে বাসনা বিহ্বল আজ
উজাড় করে দেব ডাকের পিছে
এ ডাক যে গো গভীরতায় ভরা
আমার পরান প্রতিক্ষাতেই আছে ॥
এসো বাতাস আমার সাথে আজ
পরিযায়ী চলো পুবের ঘরে
দিনেরআলো দাও ঢেকে আজ মেঘে
আমায় সে যে ডাকছে খোলা দ্বারে ॥
যাবার পথে ফুরায় যদি বেলা
অজানা পথে সন্ধ্যা আসে যদি
রাতের আকাশ জোৎস্না ভ'রে থেকো
তাকেই খুঁজে চলবো নিরবধি ॥
এমনি শেষে শূন্য আকাশ তলে
কিংবা কোন ছোট্ট মাটির ঘরে
একদিন ঠিক আসবো তোমার কাছে
তুমি সেদিন রেখো আপন করে ॥
........... 5 . 5 . 2017 .......................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী।
তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।