অন্য জনের
ঠিক মনে নেই কবের কথা খানি,
অনেক বছর আগের বিকাল বেলা,
ছাগল নিয়ে ফিরছিল সে পথে
মাঠের পথে উড়িয়ে যতেক ধুলা।
আমি ছিলাম রাজার বাঁধের কাছে,
দৃষ্টি উদাস বিকাল আভায় চুপ,
বকের ডানায় দিগন্ত দূর বাঁকে
গোধূলি রঙ্গে ধানীর অরূপ রূপ!
বরাবরই বসন আলোথালো
কোমর জুড়ে পাগল করা ভাঁজ!
খোলা পিঠে আঁচল ঘামে ভেজা
লজ্জা যেন ডাকত প্রতি সাঁঝ।
সামনে এসে আগের মত হেসে
গভীর চোখে আমার পানে চেয়ে,
সুধিয়ে ছিল কবে এলি বাবু
ঘামের গন্ধ খেলল শরীর বেয়ে!
কোনক্রমে সামলে ছিলাম নিজে
মৃদু হেসে শুধাই তারে আমি,
আমায় তো আর দেখনি প্রতি দিন
চিনলে তাতেও কেমন করে তুমি!
সুশ্রী -জ্ঞানী- নম্র -ভদ্র জন
চিনতে পারে এরাই বুঝি বেশি,
মৃদু হেসে বলেছিল সাঁঝে
দেখেলে তোকে লাগে ভীষণ খুশি।
উঠলো যেন ওই বিকালে ঝড়
প্রলয় ডাকে বৈরী সমীরণ!
তুষানলে আদিম শরীর ভাঁজ
ঘামের গন্ধ পাগল করা ক্ষণ!
তখন নীড়ে ফিরছিল সব বক
ছাগল গুলোর খোঁজ নেই যে আর,
ধানীর ডাকে ভাঙল যখন ঘোর
সূর্য দেখি গেছে মেঘের পার।
কখন যে তার ধরেছিলাম হাত
আজও যেন হাতটি আমার হাতে,
মাঠ ঘাট সব আগের মতই আছে
“ধানী” এখন অন্য কারোর সাথে!
রচনাকা : ২০১৭-১৮