অনিকেত

অনিকেত আমি, ভীত নহি তাই
সারাটি বিশ্ব জুড়ে আমারই বাস,
ভুবনের প্রতি গৃহে থাকি বেঁচে যেন
এই মোর রাখিলাম ক্ষুদ্র অভিলাষ।
প্রতি জন হৃদি মাঝে আপন আমার
জল স্থল অন্তরীক্ষে নিকটে সুদূরে,
নিজের যেটুকু পাই পরমানন্দে রাখি
সে পাওয়াটির শ্রেষ্ঠত্ব কেবলি ঈশ্বরে।
পথ পরে অকিঞ্চন ধুলায় লুটায়!
রাজত্ব হারায়ে রাজা ঘুরে পথে পথে!
আমি অনিকেত তাই সংশয় না করি
ধরিত্রীর ধরাতলে থাকি মিশে সাথে।
অনন্ত কালের পথে ছুটাইব রথ
সারথি হইয়া রব নিষ্ঠুরের পথে,
কাঙ্খিত মানবতা মাগি বিশ্বচরাচরে
উন্মুক্ত দিগন্ত পরে সমীরণ সাথে।
সে ধন পরায়া নহে, নহে একা কারো
শত সহস্র মেঘ ভাসে নীলিমায়,
বিস্তৃত জলরাশি মাঝে হাজার জলজ
ধরিত্রীর সভা গৃহে চর্চিত সবাই!
মৃত্তিকার প্রতি কণা তব চরণের -
অধিকার শুধু হোক প্রতি পুণ্য জনের,
অবশিষ্ট রবে যাহা ভক্তি ভরে নেব
সংশয় রবে না কিছু আমার মনের।
ধ্বংস মাঝে সৃষ্টি রচে যে জন সুখের,
বিদ্রোহ করিয়া আনে আলোকিত দিন
আঁধারিত ক্ষুদ্র মন মুক্তির আশায়
যুগান্তের সৃষ্টির পথ আধ্যাত্মিক বিলীন!
আজি হতে সর্ব কাজে রাখিলাম মন
দশদিক উন্মুক্ত করি রাখো গো ধরণী,
তোমা অনিকেত আসি বসিবে চরণে
এ পুণ্য সংসার সে যে নিজ বলে মানি।

রচনাকা : ২০১৭-১৮