অনেক বছর পর

অনেক বছর পরে এলাম তোমার গাঁ
শিউলির গাছ আজও একা পথের ধারে,
উঠান পাশে ভাঙ্গা দেয়াল নিরাবরণ
ফুল কুড়াতে আসে না কেউ শরৎ ভোরে!
আজকে এ পথ অনেক খানি আঁকাবাঁকা
মামার বাড়ির হাঁটা পথ অনেক দূর,
আশ্বিন মাসে পুজোর দিনে এ পথ ধরে
আমরা যেতাম পায়ে হেঁটে নেতুরপুর।
সেদিন ছিল আজের মত ঝড় বৃষ্টি
চলার পথে আঁধার ছিল ভীষণ কালো,
সাথে সাথে মেঘ গর্জন তীব্র সেদিন
ভীষণ ভয়ে শিউলি তলায় পথ ফুরালো!
ঠিক মনে নেই ঝড়ের রাতের কথা কিছু
অধিক রাতে দেখি একাই কোথায় আমি!
ছোট্ট একটি প্রদীপ শিখা দেয়াল পরে
একটু পাশে আধো ঘুমে কে-গো তুমি।
ওষ্ঠ চেপে কষ্ট করে ডাকলাম শেষ
ধঢ়পড়িয়ে উঠলে তুমি লজ্জা ভরে,
অদ্ভুত এক স্নেহের সুরে বললে আমায়
ঠিক আছত,এখন শরীর কেমন করে ?
ধীরে ধীরে রাত গড়ালো আঁধার ঘরে
শুনিয়ে ছিলে সন্ধ্যা রাতের গল্প সকল,
আজকে যেন প্রদোষ ক্ষণে মেঘের সাথে
মনে হলো সেদিনের সব আজ অবিকল!
তীব্র জ্বরে তোমার সেবায় সুস্থ সেদিন
ফিরার পথে অশ্রু চেপে বলে ছিলাম,
আসবো ঠিক তোমার টানে এই পথেতে
তাইতো দেখ আজকে আমি আবার এলাম।
এসেই শুনি এখন তুমি অনেক দূরে
ভিজছি একা তোমারই সেই শিউলি তলে,
ঝড়বৃষ্টি তীব্র আঁধার বজ্র নাদে
আজ কি করে আছো তুমি আমায় ভুলে!