চতুর্দিকে খোলা আকাশ আজ
তারার সাথে জ্যোত্স্না ঝরে রাতে,
মেঘের ভেলায় ভাসবে কি গো তুমি
দূরের কোনো কৃষ্ণগহ্বর খাতে!
চাঁদের আলোয় খেলবো তুমি আমি
নীল-আসমানে তারার ঘরে ঘরে!
এসো তবে হারাই বাতাস বেয়ে
পাগল করা অসীম শূন্যে দূরে।
ওইখানে নেই জীবের আনাগোনা
জড়ের মধ্যে জাগিয়ে দেব প্রাণ,
তোমার আমার দূরের খেলা ঘরে
বইবে শুধু উষ্ণ প্রসব ঘ্রাণ।
দুইটি দেহে রচবে প্রাণের সুর
প্রকাশ হবে নবীন তারার সনে,
শ্রেষ্ঠ সুখের উল্লাসে মন ভরে
প্রাণের সৃষ্টি নীরব আকাশ পানে।
রাত ঘনাবে আমায় ডেকে ডেকে
থামিয়ে ভেলা নামবো গ্রহের গায়,
অচিন পথে হাঁটবে তুমি সাথে
গ্রহের দেশে নাম হীন ছোট গাঁয়!
সেদিন সেথায় অজানা ফুল দিয়ে
ওই রাতেতে গড়বো বাসর খানি,
আঁচল তলে লুকিয়ে যাবো রাতে
বলবে আমায় চিনি তোমায় চিনি!
অমনি প্রাণের নবীন সঞ্চারণ
খেলবে শিশু আকাশ গ্রহে বসে,
দিকে দিকে বাজিয়ে প্রাণের বীণা
ফিরবো কোনো নতুন গ্রহের দেশে।
সব খানেতে সৃষ্টির উল্লাস
রাত ফুরাবে ভোরের আলো ছুঁয়ে,
প্রভাত আলোয় পক্ষীরাজে চড়ে
আসবো আবার এই অবনির গাঁয়ে।
দিনের বেলায় ক্লান্ত শরীর দুটি
নির্জনে কোন তরুর ছায়া তলে,
আমার বুকে রাখবে তুমি মাথা
ইচ্ছে হলেই খেলবো তারার দলে।