(কে বলে সে নেই !!
তাঁর বিচরণ সূর্যের আলোর মতই সবখানে)
কে দিল আজ জ্যোত্স্না রাতে খুলে নাওয়ের কাছি
কুলের কাছে একলা আমি তারই পথে আছি!
ছিল না তো এমন কথা -
নাওয়ে আছে আসন পাতা
জানি সে আজ আসবে রাতে শুধুই তারে যাচি,
কে দিল আজ খুলে আমার শক্ত নাওয়ের কাছি।
চাঁদের আলোয় দুলছে দেখি ছোট্ট তরী খানি
নওগো তুমি আমার চেনা, কে গো তুমি রাণী!
ভয় করনি জ্যোত্স্না রাতে -
শুধুই আমায় ডাকছ সাথে -
কোন তরীতে উঠবে তবে আমার কলমীরানী,
কাছি খুলে কে ভাসালো আমার নৌকা খানি।
এমন সময় মত্ত ঢেউয়ে আসলে কুলের কাছে
আঁচল ঢেকে রইলে খানিক আমার তরী পিছে,
লজ্জা পাবে দেখবো কি মুখ -
একলা নাওয়ে কি পেলে সুখ -
মন পেলে কই হাজার ছলে আমায় তুমি যেচে?
আমার জন্য কলমী কোথাও ব্যাকুল হয়ে আছে।
হঠাৎ দুলে উঠলো তরী দু’এক ফোটা ঝরল বারী
আসলে তুমি ঝড়ের বেগে ফেলে আমার তরী!
দিনি বাধা তোমায় তখন -
মেঘ কাটলে যাবেই যখন,
জড়িয়ে আমায় ভিজিয়ে দিলে ভুলালে শর্বরী!
চিনতে আমি পারিনি তখন চিনল আমার তরী।
মেঘ সরল অনেক রাতে দূরের আকাশ পথে,
দেখি তোমার বসন বিহীন শরীর আমার সাথে
ভূষণ ছিঁড়ে ধুলার উপর -
কটির বাঁধন নেই কটি ‘পর -
ঘুমের মাঝে জড়িয়ে আছো ক্লান্ত জ্যোত্স্না রাতে -
এমনি করে রইলে তুমি ভোরেও আমার সাথে!
দেখলো রবি পূবের কোনে একোন যুগল কূলে
অলস ঘুমে লজ্জা খানি আজকে গেছে ভুলে!
তীব্র হলো তারেই দহন -
শরীর ভুলে গেল সহন -
ধরপড়িয়ে উঠলে তুমি আমায় ধুলায় ফেলে!
এবার কাছি খুললে রাতে খেলবো সাগর জলে।