ভাস্কর্য ধুলায় ঢাকে নিজ রূপ খানি
অসুস্থ পৃথ্বীর মুখ ম্লান নিজ কর্মে ,
আড়ষ্ঠ বোধের ভাষা দিগন্তে মিলায়
বর্তমান মনে রাখে দায়হীন মর্মে !
স্থাপত্যের নিদর্শন দর্শায় নিজেরে ,
ভাস্কর্যের কারুকার্য সভ্যতা দর্শায় ,
দর্শনে বুঝায় তাঁর তবেকার রূপ
গাম্ভীর্যে - সহাস্যে গুনে উৎকর্ষতায় ।
ইতিহাস মিথ্যা বাক্য বর্তমান কালে
বর্তমান অন্ধ মোহে ভবিষ্যৎ খুঁজে !
ভবিষ্যৎ ভয় ভীত সংস্কারের পথে
ধ্বংস রচিছে সৃষ্টি দিব্যচক্ষু বুজে !
দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য নীরবে সকল ,
বাধা হয়ে একা পৃথ্বী কেমনে রুখিবে ,
ভারসাম্য হারাইয়া প্রলয়ে দুর্যোগে
বিলুপ্তির ছায়া পথে সবারে ডাকিবে ।
বিদীর্ণ প্রখর রৌদ্র নাই অবসর
উন্মুক্ত আকাশ ছেয়ে অস্বচ্ছ ধোঁয়ায় ,
সমীরণ ভার হয় পুতিগন্ধ ময়
দিবাকর আলো দেয় সহস্র বাধায় ।
জ্যোত্স্না আলোটি ম্লান রাত্রির নির্জনে ,
কলঙ্কে জড়ায়ে চাঁদ ভার মুখ খানি ,
বৈষম্যের বাণী মিশে চাঁদ-তারা-গ্রহে ,
ধরায় চাহিয়া থাকে ভয় ভীত জানি ।
উদার তোমার পথে যাই চলে আজ ,
যেথায় মিলায় মেঘ নীল নীলিমায় ,
ধ্বংস রচিছে পৃথ্বী মানবের সাথে -
লোকালয় থাক হেথা নির্জনে হারাই ।
........ 30 .5 2017 ...........................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।