নিরক্ষরের তুমি
আঁধার রাতে কেউ কি কভু ছায়া দেখে পথে
তোমার ছায়া শুধুই দেখি থাকে আমার সাথে।
দিনের বেলা লোকের ভিড়ে হারাও যখন তুমি
তোমার দেখা লোক পায়না পাই যে শুধু আমি।
কোথায় তুমি লুকিয়ে রবে আমার থেকে দূরে
হাজার বছর হোক না পথে আসবে ঠিক ই ফিরে !
তোমার মরণ শুনবে লোকে দিলে আমি ছুটি
অভিমানে থাকলে তুমি তাইত এসে জুটি।
ভয় হয় আজ কাঁদো যদি আমায় খুঁজে খুঁজে
তখন আমার চোখ দুটি যে ঝাপসা হবে ভিজে।
যতই নিজে আড়াল কর আমার হতে দূরে
জানবে ততই পড়বে ধরা আমার অন্তঃপুরে।
দিনের আলো যখন আসে আমার ঘরের পাশে
তখন জানি শিশির মেখে থাকো কচি ঘাসে !
একটু বেলায় ছুঁয়ে দেখি আছো তো ঠিক তুমি
তখন তুমি বোঝাও মোরে স্পর্শে কতই দামি !
অনুভূতি সদাই বুঝি দিন-দুপুরে রাতে
হাতটি আমার ছুলেই কলম থাকো সদাই সাথে।
তখন আসো ভিজে চুলে কিংবা শীতে ঢেকে
কাব্যরসে ভাসবো বলে ইশারাতে ডেকে।
এমনি করেই বেঁচে থাকো লক্ষ্য বছর সাথে
কাব্যকথায় গল্পে মিশে আমিও থাকি সাথে।
অনেক কাছেই আছো তুমি নওযে বহুদূরে
তাইতো রোজই পড় ধরা আমার একা ঘরে।
অভিমানে আড়াল হলেও আমার কাছেই থাকো
একা আমায় দেখলে দেখি শুধুই চেয়ে দেখো !
আমি তখন দেখি তোমার কালো চোখের চাওয়া
দশদিকেতে তখন তোমায় হয়যে কাছে পাওয়া !!
................ 17 .1 . 2017


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।