তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২ অক্টোবর, ২০১৮ না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি বাকুঁড়ার সকলের প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তার সাহিত্য ও সেবার মাধ্যমে। তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান”। ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন, যা কিছুদিন আগে তার ভক্তদের দ্বারা ৫০টি সনেট বই আকারে প্রকাশ পায়। বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খুলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
নহেক অধৃষ্য কেহ আত্মা অবিপ্লুত ,
সকলি দিলাম মোর চরণে তোমার -
অবিদিত স্থলে থাক অভিখ্যা আমার ,
অবর্জনে সর্ব সুখ দীক্ষায় আপ্লুত ।
অশ্রোতব্য বাক্য শুনি নিত্য কর্ম মাঝে !
দশানন দর্শয়িতা নিরেস নাটিকা -
দিকে দিকে নিরুদ্যম মানব ফক্কিকা ,
ইন্দ্রিয়ের স্থলে শুধু প্রাচুর্য বিরাজে !
সুমধুর শঙ্খ-সুর আজানের ধ্বনি -
গির্জার ঘন্টায় মিশে অনুপম সাম্য ,
বিচিত্র ছলনা স্থলে - মানবতা কাম্য ,
আমার সর্বস্ব ত্যাগ ওয়াজেব বাণী !
প্রাগ্রসর দেখি দিক প্রাচুর্যের মাঝে -
কন্দর্প দ্রঢ়িষ্ঠ প্রাজ্ঞ জিতেন্দ্রিয় খোঁজে ।
কবি তপন সৎপথী এখন স্বর্গবাসী