নিত্যদিন ঘটে যাহা দেখিয়া দুচোখ
বৃথাই অশ্রুর ভারে চেয়ে দেখে মন ,
বিচলিত হয় দেখি তথাপি নির্লিপ্ত
নিয়তির পরিহাস কালের কুক্ষন ।
ওই শোনাযায় দূরে ক্রন্দনের রোল
ধুলায় পড়িয়া সৃষ্টি শুন্য পানে চায় ,
আর্তনাদে বিদারিছে আকাশ বাতাস
ভূমিষ্ঠ হইয়া নব গোত্র হীন গায় ।
দিকে দিকে কর্ণে পশে দুষ্কর্মের বাণী
দলে দলে মিথ্যা মোহে স্বার্থপর পথে ,
গোপনে রচিছে ধ্বংস পুণ্যকর্ম নামে
সারমর্ম না বুঝিয়া ছাইভস্ম হাতে ।
আড়ালে ধ্বংস রচে উন্মত্ত উল্লাসে
পরাভূত মুক্তি চায় বিবর্তনে যাহা ,
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানে উন্মিলিত আঁখি
প্রয়োজন আছে যত অবলুপ্ত তাহা !
কোথাও ক্ষুধার্ত মুখ আঁচল চাপিয়া
দুর্ভিক্ষ ঢাকিছে নিজ শরীর বেচিয়া ,
আধম মিটায় সুখ পরকীয়া মোহে
বিকৃত কুকর্ম যায় সংসার রচিয়া !
অসাধু বিকায় শিক্ষা বিদ্যার মন্দিরে
জ্ঞানে নয় বিদ্যা বোঝ স্কন্ধের উপর ,
বুদ্ধি হারায় শিশু বিভেদ শিক্ষায়
বিদ্যার্থীর মনে গুরু হয়েছেন পর ।
অসত্যের রীতিনীতি বিষক্রিয়া জাগে
রোগাক্রান্ত ধরণীর মস্তিস্ক বিকৃত ,
পাপিষ্ঠ অলক্ষ্যে হাসে রচে সর্বনাশ
এমনি সৃষ্টির সুখে উল্লাসে দুর্বৃত্ত !
..... 29 .5 .2017 ...........................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।