(তুমি আছো সবখানে)
কাশফুলে ঢাকা সেই মেঠোপথ
সরু আলে দূর গাঁয়,
একাকী তোমার স্মৃতি বুকে নিয়ে
এ পথ হারাতে চায়!
নীরব ধূলায় দিনে অবেলায়
পথ চায় দূরে দূরে,
ভাবনা সকল ঢেউ তুলে ছুটে
উদ্দাম নীল সাগরে।
ফাগুন পলাশ রং মাখে নিজে
উৎসুক মেঘে চায়,
বাদল দিনের শ্রাবণ ধারায়
চুপ চাপ ভিজে গায়।
সাদা কাশবন সাধ্বী সেজেছে
কিংবা পূজারিনী!
ফুলবন মাঝে প্রান্তিক খুঁজে
যে জনারে আমি চিনি।
রাতদিন তাই পথে পথে খুঁজি
কখনো হারাই দূরে,
আমার চলার মাঝ খানে দেখি
নিয়মেই সব ঘুরে!
মেঘ যায় ভেসে অচিন দেশেতে
নীল ঠিকানায় নিজে,
বর্ষার মেঘ শরৎ আকাশে
নিভৃতে গোপনে ভিজে।
ভিজে চোখ ভাসে মেঘের ভেলায়
হয়তো একাকী তুমি!
সাঁঝ নেমে গেছে ভয় ভীত মনে
তোমায় খুঁজছি আমি!
শীত ছোঁবে এসে আমার উঠানে
হিমেল পরশ মেখে,
নিভৃতে স্বপন পবনের সনে
রজনীতে যাবে দেখে!
রব সব খানে বেলা অবেলায়
নিকটে অনেক দূরে
পরিচয় হীন বসে আছি আমি
শূন্য পথের ধারে।