কারবালার পথে
অলস আকাশ ছুঁয়ে শান্ত সূর্য রেখা
পুরানো প্রাচীর গায় লেখা কিছু নাম!
লিখে গেছে তারা ওরা এখানে ওখানে
মৃত আত্মা কথা কয় নিরাধার ধাম।
শুনি ডাক প্রতি ক্ষণে দিবস রজনী
ঘুম হীন নিরুদ্দেশ পাহাড়ের গায়,
কাশবন দোলা দেয় সাদামেঘ মিশে
যমুনার কলকল দিগন্তে মিলায়।
এসেছিল সাথে নিতে শঙ্খচিল পথে
বলেছিল রবে সাথে নিশ্চিন্তে সুদূরে,
শুনাইবে সেইসুর রাখালিয়া বাঁশি
দিগন্তের ফাঁকা মাঠে শীতের রোদ্দুরে।
কোন এক গোধূলির লাবণ্য আলোতে
পাখা মেলে উড়ে যাবে দখিনের মেঘে,
তার পর সীমাহীন রাত্রির আঁধারে
চুপ করে বসে রব সারারাত জেগে।
হয়তো তখন তুমি ঘুমাবে নিশ্চিন্তে
রাত পেঁচা জেগে রবে জানালার পাশে,
গোপন ঘুমের মাঝে উদাস স্বপনে
শরীরই ঘামের গন্ধ পাবে নিশি শেষে!
সময়ের তাড়া নেই চেয়ে দেখি পথে
মৃত পথ যাত্রী চুপ একা প্রতীক্ষায়,
বিজয়ার বিসর্জনে শক্তি রূপী দেবী
উলঙ্গ শিশিরে ভিজে রাত ক্ষীণ প্রায়।
নিভৃতে গোপন সত্ত্বা দেয়ালের পরে
কিছু কাজ পড়ে আছে শক্তি আরাধনে,
অস্থির কারবালার নির্জন প্রান্তরে
ঘরশত্রু অধার্মিক স্বজল নয়নে।
আরাকান বটতলা জনশূন্য আজ
নীরব নিশ্চুপ শিশু-আত্মার ক্রন্দন!
আছি পিছে দিগন্তের দূরে মেঘ গায়
ধর্মের পশ্চাতে দেখি মানব বন্ধন।
রচনাকা : ২০১৭-১৮