সেদিন ছিল এমনি জ্যোত্স্না রাত
চাঁদের আলোয় আঁধার কোথা দূর,
আমি ছিলাম আমার চালা ঘরে
সমীরণে আসলো ভেসে সুর।
কন্ঠ ছিল ভীষণ চেনা চেনা
বাদ্য কারের বাজনা পরিচিত,
অস্থির সব করছিল সেই রাতে
মধুর কন্ঠ উদাস নিজের মত!
কিসের নেশায় আর থাকিনে ঘরে
অস্থিরতা শুধুই করে গ্রাস!
অন্তর ভার উদ্বেল কোন ঢেউয়ে
রাত নির্জনে কেবলি জলোচ্ছাস!
কামনা আবেস আতর গন্ধে মত্ত
মত্ত হৃদয় হারায় আঁধারে আলো,
একি অপরূপ শান্ত প্রদোষ ক্ষণ
উদ্দাম ঝড়ে উড়লো পথের ধুলো!
সামন্ত একা রাজতন্ত্রের কাজে
কাজী চাচা শুধু বাদ্য বজায় নিজে,
বড় ফটকের কিছুটা ভিতর ঘরে
সেই রাতে তারে পেলাম একা খুঁজে!
চকিত নয়নে মুখ পানে শুধু চায়
ভুল ভাঙ্গা ক্ষণ অধরে অশ্রু মেখে,
চরণের ধূলি নম্রতা ভরে নিয়ে
কপোলের পরে নীল সেই ধুলা একে!
বক্ষে জড়ায়ে নিলাম জলসাঘরে
ধীরে ধীরে রাত ক্লান্ত অধিক তার,
ভোরবেলা শেষে নতমস্তকে বসে
বলেছিল শেষ এসো আর এক বার।