প্রভু এদের দাও বলে সেই পথ
তোমার পথে শান্তি বিরাজ করে
অস্পৃশ্য মোহের টানে আর
কেও যেননা থাকে আঁধার পরে ॥
মুক্তির পথে সত্য ধর্ম সার
দাও বলে আজ গোপন ঠিকানা
উন্মত্ত সমাজ অবিচল
সত্যের পথ এদের অজানা ॥
জানি তোমার চরণ যুগল খানি
সকল পথের শেষ ঠিকানা ওই
অপকর্ম না দেখি আর যেন
তথাপি তুমি নিচ্ছ ডেকে কই ॥
এখানে তে মানুষ মারে এরা
অন্ধ মোহে মত্ত সদাই সব
মানব ধর্ম লুটিয়ে ধুলা পথে
অধর্মেতে করছে কলরব ॥
এখানে তে বিভেদ রচে ওরা
হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন-মুসলমান
উচ্চ নিচ আড়চোখেতে চায়
মা বোনদের করে নাকো সম্মান ॥
এখানে ওরা জোর করে লুট করে
ধ্বংস করে সবার দেবালয়
তাই তো দেখি দেখলে পৃথ্বী পরে
আল্লাহ বুদ্ধ দেবতারা ভয়ে রয় ॥
হিংস্র এরা পশুর চেয়েও বেশি
অমানুষ এরা দেখলেই বোঝা যায়
হিংসা ছড়ানো শুধুই এদের কাজ
এদের দেখলে ভয় হয় লাজ পায় ॥
চলো যাই আজ সমাজের প্রতি ঘরে
এসো হে মানব শান্তির পথে চলি
মারছ যারে সে যে আমার জন
মানবতা বোধে সাম্যের কথা বলি ॥
................ 11 . 7 . 2017 ................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ ১। “কাব্যকথা” ও ২। “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দুইদেশের বিভিন্ন যৌথ কাব্যগ্রন্থেও তাঁর অনেক কবিতা স্থান পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।