সুমধুর সুর খানি - নির্জন রাত্রিতে শুনি
ভেসে আসে সমীরণ গায় ,
আমার ঘুমের মাঝে -সেই সুর আজো বাজে
কালো রাত নিভৃতে হারায় !
সেই কবে ভরা দিনে - চাঁদের আলোর সনে
একলাই এসেছিল ভেসে ,
তার পর কত কথা - হৃদয়ে হাজার ব্যথা
তবু সুর সমীরণে আসে ।
রোজই গোধূলি হলে - উদাসী মেঘের দলে
সাথীহারা মন খুঁজে তারে ,
দিক দিগন্তে ধায় - অসীমের মাঝে চায়
এই বুঝি এলো ঘরে ফিরে ।
সাদাবক ফিরে ঘরে - শুধাই রোজই তারে
দেখছকি আছে একা বসে ,
সাঁঝ তারাটিরে ডাকি - শুধাই দেখছ না কি
পূব পথে দূরে কোনো দেশে !
আকাশে উড়ন্ত মেঘে - আছে কি একলা জেগে
জ্যোৎস্না আলোয় কোন খানে ,
শুধাই সবারে আমি - দেখছো কি তারে তুমি
কোথা হতে সুর আসে কানে !
কোন দিন একা রাতে - যাই সেই মেঠো পথে
চুপি চুপি তার দূর গাঁয় ,
সেদিনের পর থেকে - নিজেরে রেখেছ ঢেকে
অনুভবে শুধু দুঃখ পাই ।
বিশ্ব নিখিলের মাঝে - রোজই কানেতে বাজে
গান শুনে খুঁজে ফিরি তারে ,
মুক্ত বাতায়নে ভেসে - নীলিমায় থাকি বসে
আলো আঁধারের পথে ঘুরে ।
শান্ত হও সমীরণ - উদাস কোরোনা মন
রাত থাক আঁধারেই মিশে !
স্বপ্ন আবেশে দেখি - সেই মুখ খানি আঁকি
সুর যেন আর নাহি আসে !!
............ 13 .5 . 2017 .....................…....


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী।

তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।