গাঙ্গেয় উপকুলের ঢেউ যখন প্রবাহিত হল -
আমার শিরায় উপশিরায় ,
মিশরের নীলনদ ভাসিয়ে নিয়ে গেল -
আমাকে গোবি সাহারার বুকে ,
ঠিক সেই সময় তুমি প্রলয় হয়ে -
আছড়ে পড়লে অন্ধ্রের উপকুলে ।
ভাসিয়ে নিয়ে গেলে কত বালি -খড় ,
বাদ দিলেনা আমার সাধের দেবদারু কেও !
তাইতো তোমায় প্রশ্ন করি আজ !
ভ্রুনের বড় হওয়ায় কি ছিল অপরাধ ?
তাহলে এক একটি করে কেন ফেলে দিলে
আরাকুভেলির পাহাড়ের তলে ?
তারা তো দিব্বি পাথরের রস খেত-
বড় হয়ে পৃথিবীর ঐ পাহাড়ের তলে ,
ওখানেই মাতৃক্রোড় খুঁজে নিত ।
দিব্বি ঘুমের দেশে আছি আমি ।
এখানে নেই আড়ম্বর কোন রাহাজানি-
নেই মারামারি ।
দেখ এখানের বালুতে নেই রক্তের দাগ ,
বাতাসে নেই মানুষের গন্ধ ,
তাই শকুন বদলেছে ঠিকানা !
চড়ুই শালিখ গুলো একসাথে থাকে,
আমার ঘরের পাশে ঐখানে-
ছোট্ট বেলগাছের নীচে ।
গাঙ্গেয় উপকূল শান্ত হলে ,
নিশব্দে আমি যাব চলে -
বিরহের বাতায়ন বেয়ে !
সেদিন পরিয়ে দিব মালা-লাল টিপ ,
সাহারার বালু নিয়ে বানাব তাবিজ -
অন্ধ্রের উপকুলে !
আরাকুভেলিতে বসে ,
আমারে করাবে স্নান-
শিশুরে করাবে পান তোমার স্তনে-
মিশরের নীলনদ এনে!
@..... 21.9.2016
কবি তপন সৎপথী এখন স্বর্গবাসী