তাকিয়ে থাকি দিগন্তেরই মেঘে
মন হারিয়ে অবেলারই দূরে ,
রোজ বিকালে আসতে দক্ষিণ মাঠে
আজও যদি আসছো মনে করে !
উড়িয়ে আঁচল থাকতে মেঘের গায়
দক্ষিণ আকাশ মাখত হরেক রং ,
দৃষ্টি আমার হারিয়ে যেত তায়
খুঁজত রাতে ছায়ায় শুধু সং ।
নীলপরী সব খেলত দূরের মেঘে
আকাশ গঙ্গা পারে মেঘের দেশে ,
চাঁদের আলোয় বিলীন ছায়া পথ
উলকা হঠাৎ পড়তো রাতে খসে ।
মনে হোত উলকা আলোয় মিশে
আসছো যদি গভীর রাতে তুমি !
বিনিদ্র রাত কাটত নিরালায়
স্মৃতির ভারে উদাস হতাম আমি ।
জানলা পাশে খুঁজত জোনাক গুলো
রাত পোকারা ডাকতো মাঝে মাঝে ,
জ্যোত্স্না আলোয় উজ্জ্বল দশদিক
আমার চোখেই থাকতো শুধু ভিজে !
রাত বাড়ত রাতের অন্ধকারে
শরীর নিজেও অলস হোত শেষে ,
কখন ঘুমে মুজত দুটি আঁখি
আবার জাগত স্মৃতির স্বপ্না বেশে ।
ধীরে ধীরে ভোরের সমীরণে
চেয়ে রইতাম দূরের খোলা মাঠে ,
ঘুমিয়ে ছিলাম এমন ভেবে যদি
যাচ্ছ ফিরে একলা ভোরে হেটে !
আজকে কেন কোন দিনও আর
ঘুম আসেনা আগের মত করে ,
বিনিদ্র রাত কাটাই সেদিন থেকে
আসবো বলে যেদিন গেলে দূরে !!
....... 24 . 5 . 2017 ....................
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো, (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন, আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।